শরীরে জলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও কিন্ত সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে সার্বিক সুস্থতার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হল জল। শরীর ভাল রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। শরীরের সব কোষের সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন জল। চিকিৎসকরা বলেন, এক জন প্রাপ্ত বয়স্কের সারা দিনে তিন লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে জলের ঘাটতি পড়লে যেমন নানা শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তেমনই শরীরে জলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও কিন্ত সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে ‘ওভারহাইড্রেশন’।
তবে শরীরে জলের পরিমাণপ্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে সাধারণ ভাবে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। কিন্তু শরীরে যখন তার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জল যায় তখন বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ প্রকাশ পায়। সেগুলি কী কী?
‘ওভার হাইড্রেশন’র অন্যতম লক্ষণ হল বমি বমি ভাব। ছবি: সংগৃহীত
ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া
দৈনিক গড়ে সঠিক পরিমাণে জল খেলে ৫থেকে ৮ বার প্রস্রাব পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে দিনে এর বেশি বার প্রস্রাব পাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরের জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেষ্টা না পেলেও জলপানের প্রবণতা
সারা দিনে গড়ে তিন লিটার জল খাওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে অনেকেই মাঝে মাঝে তেষ্টা না পেলেও জল খেয়ে নেন। এতে শরীরে জলের পরিমাণ প্রয়োজনের বেশি জল খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। শরীরের কখন জলের প্রয়োজন হয় তা শরীর নিজেই জানান দেয়। তাই তেষ্টা পেলে তবেই জল খাওয়া ভাল।
বমি ভাব
‘ওভার হাইড্রেশন’র অন্যতম লক্ষণ হল বমি বমি ভাব। যখন শরীরে খুব বেশি জল থাকে, তখন পিত্তাশয় অতিরিক্ত তরল শোষণ করতে পারে না। অতিরিক্ত জল শরীরে জমা হতে থাকে। যার ফলে বমি ভাব, বমি বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
মাথা ব্যথা
জলশূণ্যতা ও অতিরিক্ত জল— এই দুটিই মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত জলের কারণে লবণের পরিমাণ কমে যায় এবং কোষগুলি ফুলে যায়। এই ফোলা কোষগুলি মস্তিষ্কে চাপ দেয়। এই চাপের ফলে মাথা ব্যথা হয়। শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে।
অত্যধিক ক্লান্তি
অত্যধিক জল পান করার ফলে পিত্তাশয় পর্যাপ্ত পরিমাণের অতিরিক্ত জল অপসারণ করতে পারে না। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়াতে বিঘ্ন ঘটে।তাই শরীরে একটা বাড়তি চাপ ও ক্লান্তি বোধ চলে আসে।
কতটা পরিমাণ জল খাওয়া স্বাভাবিক?
১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে দিনে গড়ে ২.৭ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন ৩.৭ লিটার জল।