করোনা আক্রান্ত হলে খিদে হ্রাস পাওয়া বা খুব কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে করোনা নামক মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে আসছে গোটা পৃথিবী। প্রতিটি ধাপে ভাইরাসের রূপেও রয়েছে বিভিন্নতা। চলতি স্ফীতিতে কোভিডের উপসর্গ আগের দু’বারের তুলনায় খানিকটা কম সক্রিয়। কোভিডের নয়া রূপ ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক। তবে উপসর্গগুলি মৃদু হলেও বৈচিত্রময়।
ঠান্ডা লাগা, সর্দি, জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তির মতো বেশ কয়েকটি উপসর্গ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি আমেরিকার কয়েকজন গবেষক জানাচ্ছেন, এগুলি ছাড়াও ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়াও আরও দু’টি সমস্যা ওমিক্রন রোগীদের বেশ ভোগাচ্ছে। তা হল খিদে হ্রাস পাওয়া। অন্য বিভিন্ন কারণেও খিদে কমে যেতে পারে। তবে তা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু সতর্কতা প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার শরীরে না পৌঁছলে ওজন কমে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’ (এনএইচএস)-এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হলে খিদে হ্রাস পাওয়া বা খুব কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার খেতে ইচ্ছা না করলেও কোভিড আক্রান্ত থাকাকালীন অল্প অল্প করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার শরীরে না পৌঁছলে ওজন কমে যেতে পারে। একই সঙ্গে দেখা দিতে পারে শারীরিক দুর্বলতা।
বিশেষজ্ঞরা সুরক্ষা হিসাবে মাস্ক পরা, বার বার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত রাখার পাশাপাশি করোনা টিকাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। টিকা দেওয়া থাকলে কোভিড আক্রান্ত হলেও উপসর্গগুলি কিন্তু বিশেষ বাড়াবাড়ি রকমের হচ্ছে না। অন্তত সাম্প্রতিকতম কোভিড পরিস্থিতি সে কথাই বলছে।