এক বার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে, সহজে তা কমতে চায় না।
অফিসে কাজ করছেন। হঠাৎ শুরু হল মাথাব্যথা। চোখের সামনেটা ঝাপসা দেখতে শুরু করলেন। সেই সঙ্গে মাথার মধ্যে দপদপ। মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ে যাঁরা নাজেহাল, তাঁরা এই উপসর্গগুলির সঙ্গে পরিচিত। এক বার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে, সহজে তা কমতে চায় না। যন্ত্রণায় কাবু হয় শরীর। সেই সঙ্গে অনেকের আবার বমিও হয়। মোট কথা, মাইগ্রেনের কবলে এক বার পড়লে, সহজে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। চিকিৎসকরা বলেন, মাইগ্রেনের সময় কী খাচ্ছেন সেটা অত্যন্ত জরুরি। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সেগুলির জুড়ি মেলা ভার। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের হদিস।
ভেষজ চা
শরীর আর্দ্র রাখতে ভেষজ চা খেতেই পারেন। তাতে মাথা ধরার আশঙ্কা কমে। তা ছাড়া ‘ইন্টারন্যাশন্যাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ‘পিপারমিন্ট টি’ খাওয়া সাইনাসের জন্য উপকারী। তাই মাথা ধরার প্রবণতা কমাতে পিপারমিন্ট টি খাওয়া শুরু করতে পারেন।
মাশরুম
অনেক সময়ে হজমের গোলমাল বা পেটের অন্য সমস্যা থেকে মাথা ধরতে পারে। সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রাইবোফ্ল্যাবিন রয়েছে, তেমন কিছু রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ধরার সমস্যাও কমে যাবে।
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রাইবোফ্ল্যাবিন, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
বাদাম
শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে মাথা ধরার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজনীয়। এ ক্ষেত্রে নানা রকম বাদাম খেতে পারেন। স্যালাডের সঙ্গে ফ্ল্যাক্স বীজ, চিয়া বীজ কিংবা কুমড়োর বীজও মিশিয়ে দিতে পারেন। এগুলিতে ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি ফাইবারও রয়েছে প্রচুর।
কলা
অনেক সময় খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হয়ে মাথা ধরে যেতে পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। চটজলদি কী খেলে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। এর জন্য সেরা খাবার হল কলা। ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত শক্তি পাবেন এবং মাইগ্রেনের ব্যথাও কমবে।