মুখের দুর্গন্ধও হতে পারে কঠিন অসুখের ইঙ্গিত। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁতের সমস্যা ও মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া জমা হওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে অনেকেরই মুখে দুর্গন্ধ হয়। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় হ্যালিটোসিস বলে। কম জল খাওয়া, পেটের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া ইত্যাদি নানা কারণে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। পর্যাপ্ত জল না খেলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যাকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়, অনেক সময় কঠিন অসুখের ইঙ্গিত দিতে পারে এই উপসর্গ। জেনে নিন, মুখে দুর্গন্ধ কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে, কী ভাবে সতর্ক হবেন?
১) সাইনাসে সংক্রমণ হলেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ হয়। সাইনাস থেকেই মূলত মিউকাস তৈরি হয়। সাইনাসে সংক্রমণ হলে গাঢ় হলুদ বা সবুজ রঙের মিউকাস বেরিয়ে আসে নাক কিংবা মুখ দিয়ে। এই কারণেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
২) বদহজমের সমস্যা লেগেই থাকে? যাঁরা গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মুখেও দুর্গন্ধ হতে পারে।
৩) ডায়াবিটিস থাকলেও অনেকের এই সমস্যা হয়। ডায়াবিটিস বেশি থাকলে রক্তনালিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দাঁতের মাড়িও আলগা হয়ে যায়। ফলে দাঁতের সমস্যা শুরু হয়। এই কারণেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা শুরু হতে পারে।
৪) ভিটামিন ডি-র ঘাটতির মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই ভিটামিন ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে। দাঁত ভাল রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিনের। দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষয়ে যেতে পারে এনামেল। ফলে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যা মুখের দুর্গন্ধের কারণ।
৫) মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ভিটামিন সি-র অভাব। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দেখা যায়। এই ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণ ঘটতে পারে। মুখে জীবাণু সংক্রমণ দেখা দিলে দুর্গন্ধ হতেই পারে।