বিধি-নিষেধ মেনে না চললে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। প্রতীকী ছবি।
অনেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা— সব মিলিয়ে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়ছে। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল (হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন), এলডিএল (লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরল পরিবার। কোলেস্টেরল ধরা পড়লে রোজের খাবার থেকে অনেক খাবারই একে একে বাদ চলে যায়। বিধি-নিষেধ মেনে না চললে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরাও তেমনটাই বলে থাকেন। কোলেস্টেরল জব্দ করতে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু বাদাম রোজ খেতে পারেন। বাদামের গুণেই হাতের মুঠোয় থাকবে কোলেস্টেরল।
চিনেবাদাম
ভিটামিন বি৩, নিয়াসিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-গুণ সমৃদ্ধ চিনেবাদাম কোলেস্টেরল রুখে দিতে পারে। এ ছাড়া এর প্রোটিন এবং ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না। এই ধরনের বাদামে ফাইটোস্টেরল রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
বাদামের গুণেই হাতের মুঠোয় থাকবে কোলেস্টেরল। প্রতীকী ছবি।
আখরোট
অনেকেই রোজ আখরোট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ আখরোট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা কমাতেও উপকারী।
কাঠবাদাম
এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। এই বিশেষ ধরনে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে শরীর ঝরঝরে রাখতে পারে কাঠবাদাম। তাই পুষ্টিবিদরা রোজ একটি করে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার কথা বলে থাকেন।
পেস্তা
প্রচুর পরিমাণে ফাইটোষ্টেরল-সমৃদ্ধ পেস্তা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। ফাইটোস্টেরল কোলেস্টেরলের জন্য খুব উপকারী একটি যৌগ। রোজের তালিকায় যদি একটি করেও পেস্তা রাখতে পারেন, আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যা দূরে থাকবে।
কাজু
জিঙ্ক, কপার, ক্যালশিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন কে-সমৃদ্ধ কাজুবাদাম শুধু স্বাদের নয়, যত্ন নেয় শরীরেরও। এর ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভাল কোলস্টেরল বাড়াতেও পারদর্শী কাজুবাদাম।