ডায়েটের ফাঁকে তাই মাঝেমাঝে পছন্দ অনুযায়ী খাবারের স্বাদ নেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
শরীর সুস্থ রাখতে রোজের খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা তেমনটাই বলে থাকেন। কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে কেমন থাকবে শরীরের হাল। নিজেকে সুস্থ রাখতে অনেকেই কঠোর ডায়েট মেনে চলেন। তাতে শরীরের যত্ন নেওয়া হলেও, স্বাদের যত্ন যেন একটু ব্রাত্যই থাকে। ডায়েটের ফাঁকে তাই মাঝেমাঝে পছন্দ অনুযায়ী খাবারের স্বাদ নেন অনেকেই। কড়া ডায়েট তো চলছেই। এক দিন অন্য কিছু খেলে খুব অসুবিধা হবে না। এমনটা ভেবে অনেকেই নানা ধরনের খাবার খেয়ে ফেলেন। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি প্রাথমিক ভাবে খুব ক্ষতিকর বলে মনে না হলেও, শরীরের ভিতরে এই খাবারগুলিই নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?
চিনি
ওজন বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই চিনি এড়িয়ে চলেন। ওজন বাড়ানো ছাড়াও চিনির রয়েছে আরও ক্ষতিকর দিক। বেশি চিনি খেলে ডায়াবিটিস হতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন না, মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস লিভারেও উপর প্রভাব ফেলে। পাকস্থলীর নানা সমস্যা তৈরি করে চিনি। হজমশক্তি দুর্বল করে দেয়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও চিনি এড়িয়ে চলা জরুরি।
নিজেকে সুস্থ রাখতে অনেকেই কঠোর ডায়েট মেনে চলেন। প্রতীকী ছবি।
নরম পানীয়
গলা শুকিয়ে কাঠ। প্রাথমিক ভাবে স্বস্তি পেতে অনেকেই চুমুক দেন নরম পানীয়ে। এই ধরনের পানীয়ে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। এতে ক্যাফিনের পরিমাণও কম নয়। প্রতিনিয়ত এই ধরনের পানীয় খেলে স্থূলতা, ডায়াবিটিস, হজমের গোলমালের মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই গলা ভেজাতে হালকা লেবুর জল কিংবা ভেষজ চায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
মদ
মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এ বিষয়ে অনেকেই অবগত। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে গেলে দীর্ঘ স্থায়ী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভার সিরোসিস, এমনকি, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে মদ।
আলুর চিপ্স
প্যাকেটজাত যে কোনও খাবারই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সব বয়সের মানুষের মধ্যে চিপ্স খুব জনপ্রিয়। বাচ্চাদের তো চিপ্স পেলে আর কিছু চাই না। কিন্তু এই ধরনের চিপসে ফ্যাট বেশি থাকে। এ ছাড়াও চিপসে সোডিয়াম থাকে। এই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের আশঙ্কা বাড়ায়।
ডোনাটস
শিশুরা ডোনাটস খেতে বেশ পছন্দ করে। কিন্তু এই ধরনের খাবারে চিনি অত্যধিক পরিমাণে থাকে। শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ট্রান্স ফ্যাটও অনেক বেশি থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানো ছাড়াও হার্টের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ধরনের খাবার থেকে এড়িয়ে চলা জরুরি।