পোস্তর গুণেই শরীর থাকবে ঝরঝরে। ছবি: সংগৃহীত।
আলুপোস্তর সঙ্গে বাঙালির প্রাণের টান। নিরামিষের দিন হোক কিংবা মাছ, মাংসের সঙ্গে— আলুপোস্ত থাকলে বাঙালির হাত আগে সেদিকেই এগোয়। পোস্তর সঙ্গে আলুর মাখামাখি যতটা পছন্দের, পোস্তর অন্য পদও কম জনপ্রিয় নয়। পোস্ত দিয়ে মাছ, মাংসের পদ রাঁধলেও হাত চেটে খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। খাদ্যরসিক বাঙালির রসনার জন্য পোস্তর মতো সঙ্গী বিশেষ নেই। তবে রসনা তৃপ্ত করা ছাড়াও পোস্তর রয়েছে বহু গুণ। শারীরিক সমস্যা দূর করতেও পোস্ত দাওয়াই হিসাবে কাজ করে। কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায় পোস্ত?
১)শরীর খুব বেশি গরম হয়ে গেলে, মুখে ঘা হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। পোস্ত এই সমস্যা আটকাতে পারে। পোস্ত শরীরকে ঠান্ডা করে, ফলে ঘা হওয়ার আশঙ্কা কমে।
২) অনিদ্রার সমস্যা কমাতে পোস্তর জুড়ি মেলা ভার। যাঁদের ভাল করে ঘুম হয় না, তাঁদের জন্য পোস্ত অত্যন্ত ভাল। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পোস্ত বাটা আর চিনি মিশিয়ে খেলে, ঘুমের সমস্যা অনেক কমে যেতে পারে।
৩) হদ্রোগ থাকলে পোস্ত খেতে পারেন। সুস্থ থাকা সহজ হবে। তা ছাড়া পোস্তর মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। এর ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে যায়।
৪) ক্যালশিয়াম, আয়রন, আর কপার থাকার কারণে পোস্ত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সহজেই কোনও বিষয়ে ধৈর্য হারাতে দেয় না পোস্ত। তা ছাড়া মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে পোস্ত।