চুলের জন্য ভাল সূর্যমুখী ফুলের বীজ। ছবি: সংগৃহীত।
শীত এলেই যে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, তা নয়। দূষণ যে হারে বাড়ছে, তাতে সারা বছর ধরে নিয়মিত যত্ন নিতে না পারলে যে কোনও সময়েই সমস্যা হতে পারে। অনেকে হয়তো জানেন না, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কিন্তু চড়া রোদেরও ভূমিকা রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও চুলের মান নষ্ট হয়। চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার জন্য রাসায়নিক প্রসাধনী, স্ট্রেটনার, কার্লারের মতো যন্ত্রেরও ভূমিকা রয়েছে। আবার, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রতি দিনের ডায়েটে একটু করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ রাখলে অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর হবে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যমুখী ফুলের বীজে ১৬৩ ক্যালোরি রয়েছে। স্যাচুরেটেড, পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মোট পরিমাণ ১৪ গ্রাম। প্রোটিনের পরিমাণ ৫.৫ গ্রাম। এই বীজে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৬.৫ গ্রাম। ফাইবারের পরিমাণ ৩ গ্রাম। এ ছাড়া ভিটামিন ই, বি৬, নিয়াসিন, ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ় এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজও রয়েছে এই বীজে। নতুন চুল গজানো থেকে চুলের মান ভাল রাখার জন্য এই সমস্ত উপাদান জরুরি।
কিন্তু সূর্যমুখী বীজ খাবেন না মাখবেন?
১) সকালে জলখাবারে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্সের সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাওয়া যায়।
২) সূর্যমুখী ফুলের বীজ, টক দই এবং মধু মিক্সিতে বেটে নিয়ে তৈরি হতে পারে একটি মাস্ক। মাথার ত্বকে আধ ঘণ্টা মেখে দিতে পারেন। তার পর শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।
৩) নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ফুটিয়ে সেই তেল মাথায় মাখতে পারেন। চুলে গোড়া মজবুত হবে। তা ছাড়াও, মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই তেল।