উদ্বেগ পুষে না রাখাই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
আকাশে মেঘ জমলে বৃষ্টি হয়ে তা ঝরে পড়ে। কিন্তু মনে মেঘ জমলে দু’চোখে অঝোরে বর্ষণ নামলেও, সে মেঘ কাটতে চায় না। ব্যস্ততম জীবনে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বার করা বেশ কঠিন। সারা ক্ষণ কাজ, দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে একঘেয়েমি, বিরক্তি আসেই। সেখান থেকেই উদ্বেগ, অবসাদের আবির্ভাব। তবে কোনও বিষয় নিয়ে উদ্বেগ হোক কিংবা অবসাদ, তা মনের মধ্যে পুষে রাখতে নেই। ঝেড়ে ফেলে দেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কিছু গাছ। অন্দরসজ্জায় গাছ ব্যবহার করেন অনেকেই। সবুজের ছোঁয়ায় মন শান্ত হয়। তবে কিছু গাছ উদ্বেগ, চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে।
স্নেক প্লান্ট
ঘর বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। বাতাস ফুরফুরে রাখে। ফলে অস্বস্তি কম হয়। খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছগুলি। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই এদের। তাই ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে পারেন এই গাছগুলি। সপ্তাহে এক দিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে এক বার জল দিলেও চলে।
পিস লিলি
বাকি গাছগুলির মতো এটিও বাতাস ভারী হতে দেয় না। ফলে অস্বস্তি কম হয়। সামান্য যত্নেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। তবে কড়া রোদ আসে, ঘরের এমন জায়গায় এই গাছ না রাখাই ভাল। মাটি একটু ভেজা ভেজা থাকলে এই গাছ খুব ভাল থাকে। সারা বছর ধরেই এ গাছে সাদা ফুল হয়। যা এই গাছের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে এই গাছ।
অ্যান্থুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি
ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলি-র মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে এই গাছ।