জল কম খাওয়ার লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে গলা ভেজাতে ঘন ঘন শরবত, ডাবের জলে চুমুক দেওয়া হয়েই থাকে। তাও কি যথেষ্ট? গরমে ঘাম যে বেশি হয়, সে কথা সবাই জানে। ফলে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটা বোঝা যায় না। শরীরের অন্দরে কী ঘটে চলেছে, বাইরে থেকে তার আঁচ পাওয়া যায় না। কিন্তু শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে, তা বেশ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেগুলি কী?
হাত-পায়ে টান ধরা
ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশিগুলিতেও জল পৌঁছয় না। তাই চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁটতে গেলে বা দৌড়তে গেলে কিংবা ওঠাবসার সময়ে কি প্রায়ই টান লাগছে? তা হলে কিন্তু জল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক
দীর্ঘ দিন শরীরে জলের ঘাটতি হলে, লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা শক্তি জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই নোনতা খাবার, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
মাথাব্যথা
মাথা যন্ত্রণার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার মধ্যে একটি কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। তাই সারা ক্ষণ মাথা যন্ত্রণা হতে থাকলে বেশি করে জল খান।
শুষ্ক ত্বক
গরমে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ থাকে। তার উপর যদি শরীরে জলের ঘাটতি হয়, তা হলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। ত্বক অত্যধিক শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। এমনিতে ত্বক কি অনেক ক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? তা হলে আরও জল খাওয়া প্রয়োজন।
হলুদ প্রস্রাব
যদি হঠাৎ প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।