কিছু ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে ফেলা যায় অঞ্জনির সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
অঞ্জনি বা আইলিড সিস্ট নিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়ে অনেকেই ভুগে থাকেন।চোখে নোংরা জমা বা পরিষ্কার করে চোখ না ধোয়া অঞ্জনির কারণ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘স্টাই বা হরডিওলাম’। চোখের অনেক ক্ষুদ্র তেল গ্রন্থি আছে। বিশেষ করে চোখের পাতার উপর। মৃত কোষ, ময়লা, তেল জমে ওই গ্রন্থির মুখগুলি বন্ধ হয়ে যায়। গ্রন্থির ভিতরে জন্ম নেয় ব্যাক্টেরিয়ার। এর ফলে চোখে অঞ্জনির মতো সমস্যা হয়। অঞ্জনি তেমন কোনও বড় সমস্যা না হলেও দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে অঞ্জনি হলেই যে সব সময়ে প্রচুর ওষুধের দরকার পড়ে এমন নয়। কিছু ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে ফেলা যায় অঞ্জনির সমস্যা।
অঞ্জনি তেমন কোনও বড় সমস্যা না হলেও দীর্ঘ দিন ফেলে রাখলে এটি বড় আকার নিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে কমাবেন অঞ্জনির সমস্যা?
১) নরম কাপড় বা রুমাল দিয়ে গরম সেঁক দিন। তবে খুবই হালকা হাতে। বেশি চাপ দিয়ে সেঁক দেবেন না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। গ্রন্থির মুখে জমে থাকা তেলও শুকিয়ে যাবে। ব্যথাও দ্রুত কমবে।
২) চোখের পাতায় খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন। তবে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর আগে ভাল দেখে নিনতেলটির মেয়াদ কবে উত্তীর্ণ হচ্ছে। যদি মেয়াদের মধ্যে থাকে তাহলে ব্যবহার করাতে পারেন। ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কা এতে কমে।
৩) পেয়ারা পাতাও অঞ্জনি সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াদের বিনষ্ট করতে দারুণ সাহায্য করে। শুকনো কড়াইয়ে পেয়ারা পাতা অল্প গরম করে নিন। নরম কোনও কাপড়েসেই পাতা জড়িয়ে চোখের পাতায় বুলিয়ে নিন। স্বস্তি পাবেন। অঞ্জনির সমস্যাও দ্রুত কমবে।
৪) ঘরোয়া উপায়ে যদি একান্তই চোখের অঞ্জনি না কমে সেক্ষেত্রে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।