চিনের সেই দুর্ঘটনার দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।
গত নভেম্বর মাসে চিনের ঝুহাইয়ে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা প্রাণ কেড়েছিল ৩৫জনের। আহত হয়েছিলেন আরও ৪৩ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ঘটনার দু’মাসের মাথায় বৃদ্ধ গাড়িচালককে মৃত্যুদণ্ড দিল চিনের আদালত।
সোমবার ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে চিনে এমন অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। ৬২ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম ফ্যান ওয়েইকুইউ। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বৃদ্ধ। এজলাসে সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এর পর গত মাসেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড শোনায় সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার সেই সাজাই কার্যকর হল।
গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান দেখতে চিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ঝুহাইয়ের একটি ক্রীড়া কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন এক দল মানুষ। তখনই বেপরোয়া গতিতে একটি গাড়ি এসে তাঁদের কয়েকজনকে পিষে দেয়। আহত হন আরও বহু মানুষ। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। শেষমেশ মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ৩৫-এ।
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ। ঘটনাস্থল থেকেই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন তিনি। শেষমেশ পুলিশ কোনও মতে তাঁকে থামায়। তবে আঘাতের কারণে কোমায় চলে যান বৃদ্ধ। পরে তদন্তে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ অবসাদে ভুগছিলেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন ঝুহাইয়েরই বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এটি নিছক দুর্ঘটনা, না কি ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন বৃদ্ধ, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও নিহত ও জখমদের সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।