ক্যানসারের লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের অন্দরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না, তা বাইরে থেকে সব সময়ে বোঝা যায় না। কারণ, ক্যানসার নিঃসন্দেহে জটিল রোগ। চিকিৎসকেদের মতে, এই রোগ যত প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যায়, ততই চিকিৎসার সুযোগ বেশি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গগুলিকে অবহেলা করেন অনেকেই। ফলে সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয় না। ক্যানসারের লক্ষণগুলি সম্পর্কে তাই অবগত থাকা জরুরি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া ক্যানসারের একটি অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হওয়া নতুন নয়। অনেকেই শীতকালে গলার ব্যথায় কষ্ট পান। তবে এই সমস্যা শুধু ঠান্ডা লাগার কারণে না-ও হতে পারে। ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হলে তা দু-চার দিনের বেশি থাকে না। কিন্তু গলাব্যথার কারণ যদি হয় ক্যানসার, তা হলে সহজে ব্যথা সারতে চায় না। তাই গলাব্যথা যদি না কমে তা হলে একটু সতর্ক থাকা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকেরর পরামর্শও নিতে হবে।
গলাব্যথা ছাড়াও ক্যানসারের আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে মাংসপিণ্ড ফুলে যাওয়াও কিন্তু ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। এমন কিছু চোখে পড়লে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। কোনও কারণ ছাড়াই যদি ওজন কমতে থাকে, সে ক্ষেত্রেও বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কারণ শরীরের ওজন ক্রমশ কমে যাওয়ার নেপথ্যে ক্যানসার থাকতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ওজন কমে যাওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা নিছক পুষ্টির অভাবেও অনেক সময় ওজন কমে যায়। তবে এই ধরনের কোনও সমস্যা যদি না থাকে, তা হলে এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
ক্যানসারের আরও একটি লক্ষণ হতে পারে অনবরত কাশি। এমনিতেই কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তা গভীরতর রোগের ইঙ্গিত দেয়। ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ কাশি। তাই কাশি সহজে না কমলে তা উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।