অতিরিক্ত ধূমপানের আসক্তি বিরূপ প্রভাব ফেলে চোখের উপরও। ছবি: সংগৃহীত
ধূমপানের কারণে একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তামাকজাত দ্রব্য অত্যধিক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মতো বিপদ ডেকে আনে ধূমপান। তামাক সেবন করলে রক্তবাহী ধমনীর দেওয়ালে তা জমতে থাকে, যা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে।
সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রায় ৩৪.৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান করেন। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে বার্ষিক প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ মারা যান। ধূমপানের ফলে ক্যানসার ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৫৩ শতাংশ।
তবে অনেকেই জানেন না যে, অতিরিক্ত ধূমপানের আসক্তি বিরূপ প্রভাব ফেলে চোখের উপরও।
গবেষণা বলছে, তামাকের ধোঁয়ায় ৭ হাজারেরও বেশি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ধূমপানের ফলে চোখের কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ছবি: সংগৃহীত
চোখ শুকিয়ে যায়
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ চোখের জলীয় পদার্থ শুষে নেয়। ফলে চোখ ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে পড়ে। সাধারণত লাল ভাব, জ্বালা করে, চোখে অস্বস্তি চোখ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ। দীর্ঘ দিন ধরে এমন চলতে থাকলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
চোখে ছানি
মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে যেকোনও বয়সে চোখে ছানি পড়তে পারে। সাধারণত বয়স হয়ে গেলেই চোখে ছানি পড়তে দেখা যায়। তবে ধূমপানের অভ্যাসের কারণে বয়স অল্প বয়সেও ছানি পড়তে পারে চোখে।
গ্লুকোমা
চোখের অভ্যন্তরে বাড়তি চাপের কারণে চোখে অতিরিক্ত তরল জমা হতে থাকে। ধূমপান করলে চোখে একটা চাপ পড়ে। আর দীর্ঘ দিন ধরে এই চাপের ফলে চোখে জমা হয় জলীয়ের পরিমাণ আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।