অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও কর্মব্যস্ত জীবনে অল্প বয়স থেকেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। প্রতীকী ছবি।
উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবিটিস, মানসিক চাপ, পরিশ্রম— এগুলি নিত্যদিনের সঙ্গী হলে প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রে। এমন কিছু সমস্যা থাকলে হৃদ্রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেরই ধারণা ছিল, একটা বয়স পেরোলে তবেই হৃদ্রোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা অবশ্য সেই ধারণাকে সমর্থন করে না। কমবয়সিদের মধ্যেও হৃদ্রোগ নিয়ে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে।কর্মব্যস্ত জীবনে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অল্প বয়স থেকেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
চিকিৎসকরা হার্ট অ্যাটাকের ধরন নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মতে, হার্ট অ্যাটাক সব সময় হঠাৎ হবে, এমন নয়। বরং বেশ কিছু উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে আসে না। এই উপসর্গগুলিকে অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ধারণা ভুল। প্রতীকী ছবি।
হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ কিছু লক্ষণ হল বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। এগুলি আসে, আবার সেরেও যায়। অনেকেই হজমের সমস্যা থেকে হচ্ছে ভেবে এড়িয়েও যান। মাঝেমাঝে বুকে চিনচিনে ব্যথা, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময়ে বুকের পেশিতেও টান পড়ে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়। খুব অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য কাজ করার পরেই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি, এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থায়। ভুলে গেলে চলবে না, এগুলি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। প্রাথমিক ভাবে তা মনে না হলেও, দীর্ঘ দিন ধরে এগুলি অবহেলা করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ধারণা ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট, এমনকি, চোয়ালে ব্যথা হলেও অবহেলা করবেন না। এই অস্বস্তিগুলির মুখোমুখি হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্যসচেতন থাকুন। নিয়ম করে শারীরিক কসরত ও স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মধ্যে থেকে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করুন।