কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজে কমতে চায় না। ছবি: সংগৃহীত
অফিসে বেরোনোর তাড়া রয়েছে। সকালে সেই কারণে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকেও উঠেছেন। এত কিছু করেও তাড়াতাড়ি বেরোতে পারলেন না। কারণ অর্ধেক সময় চলে গিয়েছে শৌচালয়েই। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এমন দেরি হামেশাই হয়ে থাকে। শীতকালে এই সমস্যা যেন দ্বিগুণ আকার নেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজে কমতে চায় না। অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বহু সুরক্ষা মেনেও কোনও লাভ হয় না। কারণ শারীরিক এই সমস্যাটি নিয়ে কিছু ধারণা রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সেগুলি আসলে ভ্রান্ত। সেই ধারণাগুলি থেকে বেরিয়ে আসলেই বরং মিলবে সমাধান।
ধারণা ১: খাবারদাবারের কারণেই এমন হয়
কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া— সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু তো কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, পেট সংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যার জন্য দায়ী বাইরের খাবার। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধু বাইরের খাবার খাওয়া বা জল কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়, তা নয়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অনেকেই ব্যথানাশক বিভিন্ন ওষুধ খান। অবসাদ কমানোর ওষুধও খান অনেকে। সেই কারণেও কিন্তু হতে পারে এমন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন এই ধরনের ওষুধ খাবেন না।
ধারণা ২: দুগ্ধজাত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিয়ম করে টক দই খান। কারণ অনেকের ধারণা, দুধ বা দই খেলে বোধ হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারে ঠিক নয়। কারণ প্রতিনিয়ত দুগ্ধজাত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তো কমবেই না, বরং আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে দই বা এই ধরনের কোনও খাবার খাবেন কি না, চিকিৎসকের সঙ্গে সে বিষয়ে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া— সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রতীকী ছবি।
ধারণা ৩: বেশি করে জল খেলেই কমবে সমস্যা
জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহে নেই। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যে নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায় জল, সে কথা ঠিক নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে বেশি করে জল খাওয়ার কথা চিকিৎসকরাই বলে থাকেন। কিন্তু সেই সঙ্গে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার। শুধু জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে না, সেই সঙ্গে খেতে হবে ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার। তবেই পাবেন উপকার।