আপনার মাজনে কি সালফেট আছে? ছবি: ফ্রিপিক।
দাঁত মাজার জন্য বিভিন্ন রকম মাজন ঘুরিয়ে ফিরিয়েই কেনা হয়। নামী ব্র্যান্ডের মাজন দেখেই কিনে ফেলার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু কখনওই কেনার সময়ে সেই মাজনে কী কী উপাদান আছে, তা দেখে কেনা হয় না। ফলে সেই ধরনের মাজন দাঁতের জন্য উপযুক্ত কি না তা জানাও হয় না। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, দাঁত ও মাড়ির জন্য ভাল এমন মাজনই কেনা দরকার। আর তাতে যদি সালফেট বা ওই জাতীয় রাসায়নিক থাকে, তা হলে কিন্তু তা স্বাস্থ্যকর নয়।
যে মাজনে বেশি ফেনা হয়, জানবেন তাতে ‘সোডিয়াম লরেল সালফেট’ (এসএলএস) বা ‘সোডিয়াম লরেথ সালফেট’ (এসএলইএস) নামে যৌগ আছে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে এই রাসায়নিক। দাঁত বা মাড়িতে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ রুখতেও এর বিশেষ ভূমিকা আছে। কিন্তু বেশি ব্যবহারে এর উল্টো প্রভাব পড়ে।
কী ক্ষতি হতে পারে? দাঁত বা মাড়িতে আগে থেকেই কোনও সমস্যা থাকলে অথবা রুট ক্যানাল করা হলে, এই সালফেটের বেশি ব্যবহারে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। দন্ত চিকিৎসক বিভাকর রঞ্জন জানাচ্ছেন, মুখগহ্বরে কোনও সংক্রমণ হলে যদি এই সালফেট দেওয়া মাজনে বারকয়েক ব্রাশ করা হয়, তা হলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
সকলের ক্ষেত্রেই যে সোডিয়াল লরেল সালফেট ক্ষতির কারণ হবে তা নয়। কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন রকম ওষুধ খান। তাই লালায় যদি সালফেট থেকে যায় এবং তা ওষুধের সঙ্গে মেশে, তা হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখা গিয়েছে যে, সালফেট দেওয়া মাজন দিয়ে ব্রাশ করে এসে চা বা কফি খাওয়ার পর মুখের স্বাদ কিছু ক্ষণের জন্য চলে গিয়েছে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, চা বা কফি, লেবুর শরবত বা টক জাতীয় খাবারের সঙ্গে সালফেটের বিক্রিয়ায় বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। মুখের স্বাদ চলে যেতে পারে, দাঁত ও মাড়িতে শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। এমনকি দাঁতের ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই যদি সালফেট দেওয়া মাজন ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে অল্প পরিমাণে মাজন নিয়ে ব্রাশ করা ভাল। আর চা, কফি, দুধ অথবা টক জাতীয় খাবার অথবা পানীয় ব্রাশ করার আগেই খেয়ে নিতে হবে।