উপকার থাকা সত্ত্বেও রোজ আপেল খাওয়া কি ঠিক? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের যত্ন নিতে আপেল অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ, সকলেই আপেল খাওয়ার কথা বলে থাকেন। ওজন কমানো থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— এই ফলের উপকারিতা বহু। অফিসের টিফিনে হোক কিংবা সকালের ডায়েটে— নিয়ম করে আপেল খান অনেকেই। কিন্তু উপকার থাকা সত্ত্বেও রোজ আপেল খাওয়া কি ঠিক?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ রোজ দু’টি করে আপেল খেতেই পারেন। কিন্তু তার বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। আপেল চাষের সময়ে এক ধরনের ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। আপেলের সঙ্গে এই ক্ষতিকারক কীটনাশক পদার্থ শরীরে যায়। সেগুলিই ডেকে আনে নানা বিপদ।
১) বেশি পরিমাণে আপেল খেলে তাতে থাকা কীটনাশক অন্ত্রের নানা সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি, অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে। পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে। মলদ্বারের নানা অসুখ হতে পারে এর কারণে। এর পাশাপাশি, রক্তে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, শরীরে নানা ধরনের বিষক্রিয়া হওয়ার সমস্যা তো আছেই।
ডায়াবিটিস থাকলে আপেল খেতে বারণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
২) আপেল চকচকে করতে কৃত্রিম মোমও ব্যবহার করা হয় এর গায়ে। প্রাকৃতিক ভাবে আপেলের গায়ে অল্প মোম জাতীয় পদার্থ থাকে। কিন্তু সেটি বেশি দিন টেকে না। তার পরে আপেল তাজা রাখতে এবং চকচকে করতে অনেকে এর গায়ে মোম এবং পেট্রোলিয়াম জেল লাগান। এগুলিও পেটে যায়। অন্ত্রে এই মোম এবং পেট্রোলিয়াম জেল জমা হয়। সেটিও ক্যানসার-সহ নানা অসুখের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে আপেল খেতে বারণ করা হয়। ডায়াবিটিস না থাকলেও রোজ আপেল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা প্রতি দিন দু’টির বেশি আপেল খেতে বারণ করেন এ কারণে। বেশি আপেল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এমনকি, বাড়তে পারে ওজনও।
৪) আপেলে এক ধরনের অ্যাসি়ডিক উপাদান থাকে। এই অ্যাসিড রোজ দাঁতের সংস্পর্শে আসার ফলে দাঁত ক্ষয়ে যায়। যাঁদের আগে থেকেই দাঁত বা মাড়ির সমস্যা আছে, আপেল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।