প্রয়োজনের অধিক জল খেলে কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকিও থেকে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে জল খাওয়ার পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময় জল খাওয়ার কথা মনে না থাকলেও গরমকালে জল না খেয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব। ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় গরমকালে। বোতলভর্তি জল চোখের নিমেষে কখন শেষ হয়ে যায়, বোঝা যায় না। জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। জলের ঘাটতি বরং বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্ম দেয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত জল খাওয়ার কিন্তু খারাপ দিক রয়েছে। বেশি জল খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি, প্রয়োজনের অধিক জল খেলে কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকিও থেকে যায়।
শরীরের কার্যকলাপ সচল রাখার জন্য জল অতি প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরের জমা দূষিত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কাও কম থাকে। সেই জন্য চিকিৎসকেরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন। জল খেলে শরীর পরিষ্কার হয়। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খেলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিডনিতে চাপ
কিডনি প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১ লিটার মতো মূত্র উৎপাদন করতে পারে। ফলে জল খাওয়ার পরিমাণের ক্ষেত্রেও সমতা বজায় রাখা জরুরি। বেশি জল খেলে বেশি মূত্র উৎপাদন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে চাপ পড়ে কিডনির উপর। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির উপর এমন চাপ তৈরি হতে থাকেলে, অচিরেই তা বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সোডিয়ামের ঘাটতি
অল্প সময়ের মধ্যে ৩-৪ লিটার জল খেয়ে ফেললে শরীরের প্রয়োজনীয় লবণ বেরিয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল সোডিয়াম। শরীর সুস্থ রাখতে সোডিয়ামেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সোডিয়ামের ঘাটতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বেশি পরিমাণে জল না খাওয়াই ভাল।
মস্তিষ্কে প্রভাব
অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেললে সোডিয়ামের মাত্রা মারাত্মক ভাবে কমে যায়। সোডিয়ামের অভাবে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হতে থাকে। এর ফলে নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। তাতে পক্ষাঘাত তো বটেই, এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।