ক্লান্তি কমাবেন কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
নেপোলিয়ন নাকি যুদ্ধের মাঝেই ঘুমিয়ে নিতেন ঘোড়ার পিঠে। কথাটির সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ক্লান্তি দূর করতে ঘুমের উপযোগিতা নিয়ে কারও মনে কোনও সংশয় নেই।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। শারীরিক বিশ্রাম: দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করার বদলে সুযোগ বুঝে মিনিট দশেকের ঘুম সত্যিই চাঙ্গা করতে পারে শরীরকে। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ছ’ঘণ্টার নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দরকার।
২। মানসিক বিশ্রাম: শরীরের সঙ্গে জরুরি মনের খেয়াল রাখাও। মানসিক চাপ ও শারীরিক ক্লান্তি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। ক্লান্তিকর দিনের শেষে মানসিক চাপ কমাতে কাজে আসতে পারে নিয়মিত ধ্যান বা মন শান্ত করা গান।
৩। আবেগের বিশ্রাম: মানসিক চাপের থেকে আবেগের টানাপড়েন কিছুটা আলাদা। ব্যক্তিত্বের ভিন্নতায় বিশ্রামের পদ্ধতিও ভিন্ন। কেউ আরাম পান নিভৃত যাপনে, কারও আবার আরাম হয় পরিজনের সামনে আবেগের বহিঃপ্রকাশে। পরিজনের সঙ্গে নিজের আবেগ সংক্রান্ত কথা বলাও এক ধরনের বিশ্রাম।
৪। সামাজিক বিরতি: সহকর্মী থেকে বন্ধুবান্ধব, রোজের জীবনে বহু মানুষের সঙ্গেই কথা বলতে হয় আমাদের। অনেক সময়ে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে হয় নিজেকেই। অত্যধিক সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারও ক্লান্তি ডেকে আনে। কিন্তু ক্লান্তি দূর করতে নিজের সঙ্গে কথা বলাও সমান জরুরি। মাঝেমধ্যে বন্ধু বা পরিজনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিজের জন্য বরাদ্দ করুন সময়।
৫। সৃজনশীলতা: সৃজনশীলতা চাপ কমাতে সহায়তা করে। ভাল রাখে শরীর মন, দুই-ই। নিজের মতো সময় বার করে ছবি আঁকা, গান গাওয়া কিংবা পছন্দের কবিতা আবৃত্তি করা কমাতে পারে ক্লান্তি।
৬। আধ্যাত্মিকতা: একই ধরনের কাজ দীর্ঘদিন করলে তৈরি হতে পারে একঘেয়েমি। এই একঘেয়েমি এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে, নিজের জীবনের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হতে পারে সংশয়। এই সমস্যা কাটাতে সহায়তা করতে পারে আধ্যাত্মিকতা। বিশেষত, প্রকৃতির মধ্যে গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো বা ধ্যান বেশ উপকারি হতে পারে।
৭। সংবেদন মুক্তি: পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের কোনও কোনওটি সর্বক্ষণ সজাগ থাকে। তাই ইন্দ্রিয়গুলির বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি। সম্ভব হলে একটি গোটা দিন দূরে থাকুন মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে। কোনও ধরনের শব্দহীন শান্ত অন্ধকার স্থানে সময় কাটানোও উপকারী হতে পারে।