প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষর দেহে একটি হলেও আঁচিল দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
আঁচিল হল ত্বকেরই ক্ষুদ্রাকার বর্ধিত অংশ। বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘অ্যাক্রোকর্ডন’ বলে। অধিকাংশ আঁচিলের দৈর্ঘ্য হয় এক থেকে পাঁচ মিলিমিটার। তবে কিছু ক্ষেত্রে এগুলি পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সাধারণত এই উপবৃদ্ধিগুলি ক্যানসারের লক্ষণ নয়। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের জীবনের কোনও না কোনও সময়ে দেহে একটি হলেও আঁচিল দেখা দেয়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আঁচিল কেন হয়?
ত্বকের একেবারে বাইরের স্তরে কিছু কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি হলে আঁচিল তৈরি হয়। ত্বকের দুটি স্তর পরস্পর ঘষা খেলেও অনেক সময় এই ধরনের উপবৃদ্ধি তৈরি হতে পারে। সেই কারণে অনেক সময় বগল, চোখের পাতা, কুচকি কিংবা ঘাড়ে এই ধরনের উপবৃদ্ধি তৈরি হয়। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে আঁচিল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ডায়াবিটিস কিংবা স্থূলতাও আঁচিল ডেকে আনতে পারে।
আঁচিল কি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর?
বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত এই ধরনের উপবৃদ্ধি খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঁচিল হলে তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তবে কিছু কিছু রোগ রয়েছে যার উপসর্গগুলি অনেকটাই আঁচিলের মতো দেখতে হয়। বিশেষত, যদি আঁচিল ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে তা ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আঁচিল না ক্যানসার তা বোঝা সহজ নয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।