কোন তেল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে? ছবি: শাটারস্টক
তিলের নাড়ু খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ইদানীং স্যালাডেও ভাজা তিলে ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। নিরামিষ রান্নাতেও তিল বাটা ব্যবহার করলে স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। শরীরের নানা রোগব্যাধি দূর করতে তিলের তেলও কিন্তু দারুণ উপকারী। বাঙালি রান্নায় খুব বেশি তিলের তেল ব্যবহার করা হয় না। তবে এই তেলের এত গুণ, জানলে অবাক হবেন। ভোজনরসিক বাঙালি হরেক রকম দেশি-বিদেশি রান্নাও বাড়িতে করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই তেলের ব্যবহার করা যেতেই পারে। তিলের তেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনই রান্নায় এই তেলের ব্যবহার করলে তার স্বাদও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সুস্বাস্থ্য পেতে স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই তেল।
কেন তিলের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণ
ছোট থেকে বড়, সব বয়সিদের মধ্যেই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এখন অনেক বেশি। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর সাদা তিল। তাই রান্নায় তিল ব্যবহার করার পাশাপাশি, তিলের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর সাদা তিল। এই তিলে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
তিলের তেল হাড়কে মজবুত করে। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
সাদা তিলের তেলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে এই তেল ব্যবহার করলে শরীরের ক্যানসার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যাঁদের কেমোথেরাপি নিতে হয়, তাঁদের খাদ্যতালিকায় এই তেল রাখা ভাল।
গাঁটের ব্যথা উপশম করে
এই তেল হাড়কে মজবুত করে। তিলের তেলে রয়েছে তামা, যা গাঁটের ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা কিংবা বাতের ব্যথার উপশমে খুবই কার্যকরী। তাই রোজের রান্নায় বেশি করে এই তেল ব্যবহার করলে শরীর থাকবে চাঙ্গা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। পেট পরিষ্কার করার জন্য রান্নায় তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। স্যালাডের সঙ্গে, না হলে সাধারণ রান্নায় এই তিল ব্যবহার করলে পেটের সমস্যা দূর হবে।