বাজারের কদাচিৎ দেখা মেলে লাল কলার। সেই কলা কেন খাবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
বাংলার বাজারে কাঁঠালি কলার জনপ্রিয়তা বেশি। সিঙ্গাপুরিও খাওয়া হয়। মেলে চাঁপা কলাও। তবে কখনও হয়তো চোখে পড়ে থাকবে লালচে কলা। গাঢ় রং নয়, বরং হলুদ বা সবুজের বদলে লালচে আভা তার খোসায়।
এই কলা কখনও খেয়ে দেখেছেন কি? হলুদ রঙের কলা বা সচরাচর যে ধরনের কলা খাওয়া হয়, তার চেয়ে পুষ্টিতে কোনও অংশেই কম নয় এটি।
লাল কলার গল্পকথা
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির কলা মেলে। স্বাদ, আকার, খোসার রঙে তারা ভিন্ন। তারই মধ্যে একটি এই লাল কলা। ভারতে মোটামুটি ২০ ধরনের কলার চাষ হয়। তার মধ্যে লাল কলাও একটি। কেরল এবং তামিলনাড়ুতেই এই কলার কদর বেশি। পাকা কলা নরম এবং সুস্বাদু হয়।
লাল কলার পুষ্টিগুণ
পুষ্টিগুণে অবশ্য লাল কলা, হলুদ কলার প্রায় সমতুল্য। আমেরিকার কৃষি দফতরের তথ্য বলছে, ১০০ গ্রাম মাঝারি আকারের লাল কলায় মেলে ৯০ ক্যালোরি। প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় পটাশিয়াম। এ ছাড়া থাকে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, সি-সহ আরও কিছু ভিটামিন, ফাইবার। এতে মেলে সুক্রোজ়, ফ্রুক্টোজ়ের মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ কলার চেয়ে পুষ্টিগুণ কি বেশি?
লাল কলায় হলুদ কলার চেয়ে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি সামান্য হলেও বেশি থাকে। বিটা ক্যারোটিন, লুটেইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে এই কলায়।
উপকারিতা
১. পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পটাশিয়াম জরুরি। এই উপাদানের ঘাটতি হলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
২. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বক, চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। তারুণ্য ধরে রাখতে, শরীর সুস্থ রাখতে এটি খুব জরুরি।
৩. লাল কলায় থাকে ভিটামিন সি, বি৬। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীর ভাল রাখতে বি৬-এরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
৪. শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে কলায় থাকা কার্বোহাইড্রেট।