ফ্যাশন জরুরি, স্বাচ্ছন্দ্য নয়? এর ফল কিন্তু খারাপও হতে পারে। ছবি:ফ্রিপিক।
পোশাকে, সাজে হতে হবে নিখুঁত। তাল মিলিয়ে চলতে হবে যুগের সঙ্গে। হালফ্যাশনের পোশাক পরতেই হবে। সঙ্গে মানানসই জুতো, অলঙ্কার, ব্যাগও জরুরি। এমন ভাবনা থাকে অনেকেরই। আর ফ্যাশনে নজর দিতে গিয়েই বাদ চলে যায় স্বাচ্ছন্দ্যের কথা।
শীতের দিনে মাথায় টুপি বা গলায় মাফলার না নিলে, বড়রা অনেক সময় বলে থাকেন ফ্যাশন করতে গিয়ে শরীর খারাপ করিস না। এ –ও যেন খানিক তেমনই। হিল জুতো থেকে লেন্স, অন্তর্বাস, গায়ে সেঁটে থাকা জামা— এমন অনেক কিছুই কিন্তু স্বাস্থ্যে কু-প্রভাব ফেলতে পারে।
হিল জুতো: রকমারি পোশাক, শৌখিন শাড়ির সঙ্গে স্টিলেটো, হিল জুতো ভালই লাগে। কিন্তু সেই জুতো পরে নিজে স্বচ্ছন্দবোধ করেন কি? অনেকেই শুধু পোশাকের সঙ্গে মানানসই হবে বলে এমন ধরনের জুতো পরেন। তাতে পায়ে ব্যথা হলে বা কোমরে টান লাগলেও পাত্তা দেন না। কেউ কেউ নিয়মিত উঁচু বা সরু হিলের জুতো ব্যবহার করেন। নয়াদিল্লির হাড়ের চিকিৎসক যোগেশ কুমার বলছেন, ‘‘নিয়মিত হিলজুতো পরার বদলে পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতো পরাই ভাল। সঠিক কুশনিং দেওয়া জুতো পরলে পায়ে ব্যথা কম হবে, পায়ে বাড়তি চাপ পড়বে না।’’ হালকা এবং অল্প হিলের জুতো পরায় তেমন কোনও ক্ষতি না হলেও, স্টিলেটো বা উঁচু হিলের জুতো এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন তিনি।
আঁটসাঁট পোশাক: স্কিনি জিন্স বা গায়ের সঙ্গে এঁটে থাকা পোশাক পরতে অনেকেই পছন্দ করেন। দেখতে ভাল লাগা নিয়ে কথা, ফলে অনেকেই আরামের বিষয়টিতে নজর দেন না। তবে অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাক পরলে শরীরের তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেই তালিকায় থাকতে পারে স্কিনি জিন্সও।
সোনিপতের ক্যানসারের চিকিৎসক আশু যাদবের কথায়, “অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাক দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকলে স্বাভাবিক রক্তচলাচলে প্রভাব পড়তে পারে। আঁটসাঁট জিন্স পরে থাকলে পায়ে ঝিঁ-ঝিঁ ধরতে পারে। আবার দীর্ঘ ক্ষণ প্যান্ট পেটের উপর চেপে বসে থাকলে পাকস্থলীর উপর চাপ পড়তে পারে। এতে হজমেও সমস্যা হতে পারে।’’ এই ধরনের গায়ে এঁটে থাকা পোশাকে ত্বকে হাওয়া-বাতাস খেলতে পারে না। ফলে ত্বকের সংক্রমণের সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
লেন্স: লেন্স পরাটাও এখন ফ্যাশনের চল। কেউ রঙিন লেন্স পরেন, কেউ আবার স্বচ্ছ লেন্সই ব্যবহার করেন। তবে লেন্স পরলেই হয় না, সেটি খোলা-পরা এবং যত্নে রাখার নিয়ম আছে। লেন্স যদি খুলে সঠিক ভাবে রাখা না হয়, তা থেকে চোখের ক্ষতি হতে পারে। লেন্সে ধুলো, ময়লা জমা হলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।