অনেকেই বুঝতে পারেন না, যে ডায়াবিটিস থাকলে রোজা রাখা যায় কি না। ছবি: সংগৃহীত।
শুরু হয়েছে রমজান মাস। এপ্রিলের মাঝ বরাবর পর্যন্ত চলবে। এই এক মাস জুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই রোজা রাখবেন। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত উপবাসী থাকাই হল রোজা রাখার নিয়ম। অর্থাৎ সূর্য ওঠার আগে এবং সূর্যাস্তের পর খাবার খেয়ে নিতে হবে। বাকি সময়টা উপবাস। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, যে ডায়াবিটিস থাকলে রোজা রাখা যায় কি না।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কারণ কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে রক্তে ডায়াবিটিসের মাত্রা ওঠানামা করবে কি না। বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের খালি পেটে থাকতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়া করা ডায়াবিটিস রোগের অন্যতম ওষুধ। সে জন্য ডায়াবিটিস থাকলে রোজা রাখার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেহরি এবং ইফতারের ডায়েট হতে হবে স্বাস্থ্যকর। না হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা হাইপারগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবিটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে রোজা রাখতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তার পরেও যদি রোজা রাখতেই হয়, সুস্থ থাকতে ডায়াবিটিস রোগীরা কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন?
স্বাস্থ্যকর সেহরি
দিনের শুরুতে সূর্য ওঠার আগেই খাবার খেয়ে নিতে হয়। এই সময় এমন কিছু খাবার খান যাতে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরতে থাকে। সারা দিন শরীর আর্দ্র রাখবে, এমন কিছু খাবার খান। জল আছে, এমন ফল বেশি করে খান। ডাবের জল, লেবুর রসও খেতে পারেন। সারা দিন যে হেতু চাইলেও জল খেতে পারবেন না, তাই বেশ কিছুটা জলও খেয়ে নিন।
জিআই-এর পরিমাণ কম এমন খাবার কম
গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, এমন খাবার বেশি করে খান। জিআই বেশি থাকে যে খাবারে, সেগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কার্বোহাইর্ড্রেট, ফাইবার আছে এমন খাবারও খেতে পারেন। খাবার যা-ই হোক, পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিলে সমস্যা হতে পারে।
সেহরি এবং ইফতারের ডায়েট হতে হবে স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিসের মাত্রা মাপা জরুরি
প্রতি দিন এক বার করে ডায়াবিটিসের মাত্রা মেপে নিন। একটু হলেও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয় এই সময়। তার প্রভাব পড়তে পারে ডায়াবিটিসের মাত্রার উপর। যদি দেখেন রক্তে শর্করার পরিমাণ খানিক বেশি, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম
খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের প্রভাব যাতে শরীরে না পড়ে, তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখুন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াও জরুরি। খুব সকালে যেহেতু উঠতে হয়, ফলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া জরুরি।