টিফিন হোক সহজ এবং সরল। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে হেঁশেলে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে। কী টিফিন বানাবেন সেটা ভাবতে গিয়েই অর্ধেক সময় কেটে যায়। তবে শুধু তো খাবার বানালেই চলবে না। মাথায়ও রাখতে হয় অনেক কিছু। স্বাস্থ্যকর হতে হবে সঙ্গে সুস্বাদুও। সেক্ষেত্রে লুচি, পরোটা কিংবা পাস্তা, চাউমিন বানিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এ ধরনের খাবার রোজ রোজ খেতে আর ভাললাগে না। আবার তাড়াতাড়ি বানাতেও হবে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলি বানাতেও সময় কম লাগে, আবার স্বাদেও লা জবাব হয়। রইল তেমন কিছু খাবারের খোঁজ।
চিলা
আটার সঙ্গে গাজর, বিনস্, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম কুচিয়ে, অল্প জল দিয়ে আঠালো একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। চাইলে তাতে একটা ডিমও ভেঙে দিতে পারেন। এ বার কড়াইয়ে অল্প তেল ঢেলে হাতা দিয়ে অল্প অল্প করে মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিয়ে প্যানকেকের মতো গড়ে নিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের যত্ন— দুই-ই একসঙ্গে নিতে পারবেন।
ওট্সের খিচুড়ি
দই কিংবা দুধ দিয়ে সব সময় ওট্স না খেয়ে মাঝেমাঝে খিচুড়িও বানিয়ে নিতে পারেন। তাড়াতাড়ি হয়েও যাবে। আবার শরীরও ভাল থাকবে। প্রেশারে গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি টুকরো করে কেটে ভেজে নিন। সব্জিগুলি লালচে হয়ে এলে নুন, হলুদ আর ওট্স দিয়ে ভাল করে নে়ড়েচেড়ে নিয়ে জল দিয়ে দিন। দুটো সিটি দিলেই তৈরি ওট্সের খিচুড়ি।
উপমা
যত্ন নিয়ে বানালে উপমার স্বাদও অমৃতের মতো লাগবে। শুকনো কড়াইতে প্রথমে পরিমাণ মতো সুজি ভেজে তুলে রাখুন। তার পর কড়াইতে তেল অথবা ঘি ঢেলে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম ভেজে নিন। সব্জি হালকা ভাজা ভাজা হয়ে এলে নুন আর সামান্য চিনি দিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢেকে দিন। কিছু ক্ষণ পর সুজি দিয়ে অল্প নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।