ছবি: সংগৃহীত।
ল্যাপটপে অফিসের কাজ। কম্পিউটারে জ়ুম মিটিং। সব মিটে গেলে মুঠোফোনে নেটফ্লিক্স? চোখ যদি টনটন করে, মাথা ধরে, দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে যায়, তা হলে আর অস্বাভাবিক কী? দু’দিন পরই দেখবেন খবরের কাগজের ছোট ছোট অক্ষর পড়তে চোখ কুঁচকে তাকাতে হচ্ছে। পাওয়ার চেক করে হয়তো দেখলেন নাকের ডগায় চশমা পরার সময়ে এসে গিয়েছে। তখন আর চশমা না পরে উপায় থাকবে না। তাই সেই অবস্থা হওয়ার আগেই সচেতন হন। চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য যেমন কখনও কখনও চোখকে বিশ্রাম দিতে হয়, দু’বেলা ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হয়, তেমনই দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) ‘২০-২০-২০ রুল’ মেনে চলা:
টানা ২০ মিনিট কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর ২০ ফিট দূরে থাকা কোনও জিনিসের দিকে অন্তত ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এই পন্থা মেনে চললে চোখের উপর বাড়তি চাপ পড়বে না।
২) ‘ব্রাইটনেস’ এবং ‘কন্ট্রাস্ট’:
মোবাইল বা ল্যাপটপের পর্দার ঔজ্জ্বল্য থেকেও চোখের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যদি ঘরের বা আশপাশের পরিবেশ অন্ধকার হয়, সে ক্ষেত্রে চোখের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই চোখের সুবিধামতো ব্রাইটনেস বা কন্ট্রাস্ট বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে হয়।
৩) চোখের থেকে দূরত্ব:
চোখের আরাম হয় এমন দূরত্ব মোবাইল বা ল্যাপটপ রেখে কাজ করলে ক্ষতি অনেকটা রুখে দেওয়া যায়। চোখের চিকিৎসকেরা বলছেন, চোখের থেকে অন্তত ৫০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার দূরত্বে মোবাইল বা ল্যাপটপ রাখতে পারলে ভাল। চোখের মণির একটু নীচে ল্যাপটপ, মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দা রাখতে পারলে ভাল হয়। ঘাড় উঁচু করে দীর্ঘ ক্ষণ তাকিয়ে থাকলেও চোখের উপর চাপ পড়ে।
৪) ‘ব্লু লাইট’ ফিল্টার
মোবাইল, টেলিভিশন কিংবা ল্যাপটপ থেকে নির্গত ব্লু লাইট চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। ‘ডিজিট্যাল আই স্ট্রেন’-এর জন্য দায়ী এই ‘ব্লু লাইট’। এখন প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল যন্ত্রেই বিশেষ ধরনের ফিল্টার দেওয়া থাকে। ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের জন্য আলাদা করে ‘প্রোটেক্টর’ কিনতে পাওয়া যায়।
৫) চোখ আর্দ্র রাখতে হবে:
একটানা মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে থাকলে চোখের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। তাই বার বার চোখের পলক ফেলা প্রয়োজন। মাঝেমধ্যে চোখে জলের ঝাপটা দিতে পারলেও ভাল হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভাল মানের ‘লুব্রিকেটিং আইড্রপ’ ব্যবহার করতে পারেন।