উষ্ণ জলে মধুর বদলে নুন দেবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু খান এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কেউ এই পানীয় খেতে বলেন মেদ ঝরানোর জন্য। আবার, কেউ হজমশক্তি উন্নত করতে এই পানীয়ে চুমুক দেন। তবে ডায়াবিটিস আছে বলে অনেকেই মধু খেতে চান না। তার বদলে এই পানীয়ে এক চিমটে বিটনুন দেওয়া যায়? দিলে কী হবে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, লেবু-জলে মধুর বদলে এক চিমটে বিটনুন দিলে তা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দারুণ ভাবে কাজ করে। পেটফাঁপা, গ্যাসের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া আর কী কী উপকার হয়?
১) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত হয়:
লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর বিটনুনের মধ্যে রয়েছে নানা রকম খনিজ। তাই মধুর বদলে নুন দিলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আরও একটু ভাল হয়। পাশাপাশি, ইলেক্ট্রোলাইটের সমতাও বজায় থাকে।
২) শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে:
উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং নুনের মিশ্রণ শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। শুধু জল খেলে কিন্তু দ্রুত জলের ঘাটতি মেটানো যায় না। দেহে জলের অভাব হলে শারীরবৃত্তীয় নানা ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হতে পারে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:
মধু বা গুড় তো আসলে শর্করা। যা ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। তার বদলে লেবুর রস মেশানো জলে সামান্য বিটনুন দিলে তা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরে জমে থাকা ‘টক্সিন’ দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
৪) হরমোনের সমতা বজায় রাখে:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উষ্ণ জলে লেবু-নুনের মিশ্রণ হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের কার্যকারিতা ব্যাহত হলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা বশে রাখার ঘরোয়া টোটকা হতে পারে এই পানীয়।
৫) ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে:
উষ্ণ জলে লেবুর বদলে বিটনুন দিলে তা ত্বকের জন্যেও ভাল। লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিটনুনের মধ্যে রয়েছে নানা রকম খনিজ। এই দুইয়ের মিশ্রণ ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।