‘ইনসোমনিয়া’ বা অনিদ্রা গ্রাস করে ফেলে নিঃশব্দে। ছবি- সংগৃহীত
রাত জেগে পড়াশোনা থেকে পরবর্তী কালে সিনেমা দেখা, রাত জাগার অভ্যাস কম-বেশি সকলেরই আছে। কম বয়সে এর প্রভাব শরীরে না পড়লেও বয়স ৪০-এর কাছাকাছি পৌঁছলে টের পাওয়া যায় তত ক্ষণে ‘ইনসোমনিয়া’ বা অনিদ্রা আপনাকে গ্রাস করে ফেলেছে নিঃশব্দে। বেশির ভাগ মানুষই এমন সময়ে ঘুমের ওষুধের উপরই নির্ভর করেন। যা পরবর্তী কালে অন্যান্য রোগকে ডেকে আনে।
ঘুমের ওষুধ পোস্ত। ছবি- সংগৃহীত
রোগ সারাতে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে যে যে উপাদান কাজে লাগে, খুঁজলে তার অর্ধেকটাই পাওয়া যাবে বাঙালির হেঁশেলে। এমন অনেক মশলার ঔষধি গুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতের কাছে পোস্ত থাকতে অন্য কিছুর উপর ভরসা করবেন কেন?
সাধারণত বাঙালি বাড়িতে গরম ভাতে কাঁচা লঙ্কা, সর্ষের তেল দিয়ে পোস্ত বাটা খাওয়ার রেওয়াজ বহু দিনের। এ ছাড়াও বিভিন্ন রান্নায়ও পোস্ত দেওয়া হয়।
এত কিছু থাকতে পোস্ত খাবেন কেন?
পোস্তর আঠায় এমন কিছু যৌগ থাকে, যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক গুরত্বপূর্ণ যৌগ আছে এই পোস্তয়। তা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয় পোস্ত খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয়, মাথা ধরা কমে এবং প্রজনন ক্ষমতাও উন্নত করে।