diabetes

Diabetes Control: ডায়াবিটিসে কাবু? খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে গেলেই বিপদ

সারা দিন আধ ঘণ্টা হাঁটার তুলনায় খাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ১৫:১৬
Share:

খাওয়ার পর কোন কাজ করলেই ডায়াবিটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে ছবি- সংগৃহীত

শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনও বিকল্প নেই— এ কথা কিন্তু বার বার মনে করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই ‘মর্নিং ওয়াক’ করার সময় পান না। দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। আপনি কি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন? খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Advertisement

জার্নাল স্পোর্টস মেডিসিন নামক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, খাওয়াদাওয়া করার ৬০ থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে হাঁটাহাঁটির করলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমবে। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাই বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস দারুণ উপকারী।

খাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। ছবি- সংগৃহীত

বয়স বাড়লে শারীরিক দক্ষতা কমে যায়। শরীরচর্চার করার প্রবণতাও বৃদ্ধ বয়েসে কমে যায়। ফলে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতি হয়। এ ক্ষেত্রে রাতে খাওয়ার পর মিনিট ১৫ হাঁটাহাটি করলেই সুফল মিলবে।

Advertisement

গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, সারা দিন আধ ঘণ্টা হাঁটার তুলনায় খাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। খাবার থেকেই রক্তে শর্করা তৈরি হয়। খাওয়ার পর হাঁটাহাটি করার সময় যে ক্যালোরির খরচ হয়, তার জোগান রক্তের শর্করাই দেয়। তাই হাঁটলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না।

রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আর কী কী সুফল পাবেন?

১) ইদানীং অল্প বয়েসেই মানুষ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা প্রতি দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিলতা ঝুঁকি কমে।

২) খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে, হজমশক্তি ভাল হয়। যাঁদের হজমের নানা সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য অবশ্যই খাওয়ার পর হাঁটা দরকার। হাঁটাহাটি করলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় ফলে খাবার সঠিক ভাবে পাকস্থলীতে যায় এবং তা দ্রুত হজম হতেও সাহায্য করে।

৩) মেদ ঝরাতেও রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে পারেন। হাঁটলে বিপাক হার বাড়ে ফলে ওজনও ঝরে দ্রুত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement