ওজন কমানোর ডায়েটে অনেক পুষ্টিবিদই পালংশাক রাখেন। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে নিরামিষ রান্নার দিন এলে অনেকেই রাতের খাবারে পরোটার সঙ্গে পালং পনির রাঁধেন। সুস্বাদু তো বটেই, এ পদ স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর। পালংশাকে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে ওজন কমানোর ডায়েটে অনেক পুষ্টিবিদই পালংশাক রাখেন। শরীরে প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদানের সমতা বজায় থাকলে তবেই ওজন কমানো সম্ভব হয়। পালংয়ের মতো পনিরও কম উপকারী নয়। দুগ্ধজাত খাবার হলেই পনির শরীরে ক্যালশিয়ামের জোগান দেয়। হাড় এবং পেশির যত্ন নিতে পনির খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর এই দু’টি স্বাস্থ্যকর খাবার যখন একসঙ্গে জুটি বাঁধে, স্বাস্থ্যকর একটি পদ তৈরি হয়।
পালং পনির কিন্তু সকলের জন্য সমান স্বাস্থ্যকর নয়। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পালং পনির খেতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, পালংশাক এবং পনির দু’টিতেই প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। আলাদা ভাবে কিংবা একসঙ্গে এই দুই খাবার শরীরে প্রবেশ করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পায়ে ব্যথা থেকে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখা জরুরি।
ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা যত কম প্রোটিন খাবেন, ততই ভাল। বেশি প্রোটিন শরীরে জমা হয়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের বদলে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে বলা হয়। বিভিন্ন শস্য, বাদাম, মরসুমি ফল, বেশ কিছু সব্জি বেশি করে খেতে হয় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায়। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও বজায় রাখতে হবে। শুধু খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানলে হবে না। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিছু নিয়মও মেনে চলতে হবে।