কুকুরের মেজাজ পরিবর্তনের নেপথ্যেও থাকতে পারে কারণ। ছবিঃ সংগৃহীত।
কয়েক দিন ধরে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বেশ চিন্তিত আবির। পোষ্যের বয়স বছর দুয়েক। এমনিতে শান্তই। অচেনা লোক দেখলেও খুব বেশি চেঁচামেচি করে না। সারা দিন নিজের মতোই খেলাধুলো, ঘোরাফেরা করে। কিন্তু ইদানীং পোষ্যটি বেশ অস্থির হয়ে উঠেছে। আগের চেয়ে বেশি চিৎকার করছে। সবচেয়ে বড় কথা, পোষ্যের মেজাজ আগের চেয়ে অনেক তিরিক্ষে হয়ে উঠেছে। দেরি না করে আবির পোষ্যকে নিয়ে পশু চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানালেন, শারীরিক কোনও সমস্যা নেই। তবে কুকুরের মেজাজ পরিবর্তনের নেপথ্যে থাকতে পারে অন্য তিন কারণ।
মালিককে সব সময়ে কাছে না পাওয়া
কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে অফিস আগের নিয়মে চলছে। দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসে থাকার ফলে পোষ্যকে সময় দিতে পারছেন না অনেকেই। পোষ্যও সেই স্নেহ, আদর না পেয়ে একাকিত্বে ভুগছে। মানসিক ভাবে একা হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পোষ্যের মানসিক অস্থিরতা অস্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রে পোষ্যের সঙ্গী হিসাবে আরও একটি কুকুরছানা আনতে পারেন। পোষ্যও খেলার সঙ্গী পাবে। একা থাকার দুঃখ কিছুটা হলেও দূর হবে।
অন্য কুকুরের প্রতি রাগ
পাড়ায় পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়েছেন। সেটা দেখামাত্রই কোথা থেকে এক দল সারমেয় এসে চেঁচামেচি শুরু করে দিল। এমন পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষেত্রে পোষ্যটি ভয় পেয়ে যায়। আবার পালটা জবাব দিতেও দেখা যায়। বাড়িতে আসা অন্য কুকুর এলেও একই রকম আচরণ করে। কুকুর এমনিতে বন্ধুবৎসল। আপন করে নিতে জানে। কিন্তু অতীতে অন্য সারমেয়র সঙ্গে কোনও খারাপ স্মৃতি থেকে থাকলে হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।
অপছন্দের মানুষ দেখলে
মানুষের ছত্রছায়ায় থাকতে ভালবাসে পোষ্যেরা। কিন্তু কিছু আচরণের জন্য অনেক সময় কাউকে দেখলে হিংস্র হয়ে ওঠে। বিশেষ করে নেতিবাচক কোনও পরিস্থিতিতে এমন হয়। ভয় পেয়ে অনেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন, তাতে পোষ্যেরা বিরক্ত হয়।