Neetu Kapoor Beauty Secrets

পান্তাভাত খেয়েই এত তরতাজা, চনমনে নীতু? বলিরেখাই পড়েনি ত্বকে, কী বিশেষ গুণ আছে এই খাবারের?

৬৬ বছরে এসেও বার্ধক্যের ছোঁয়া লাগেনি। সব সময়েই তরতাজা চনমনে থাকেন নীতু কপূর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর ত্বকে বলিরেখাই পড়েনি। কী ভাবে এই যৌবন ধরে রেখেছেন, তার গোপন রহস্য ফাঁস করলেন নীতু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৪
Share:

নীতু কপূরের সৌন্দর্যের রহস্য কী? ছবি: সংগৃহীত।

দুই নাতনি তাঁর। ৬৬ বছরে এসেও বার্ধক্যের ছোঁয়া লাগেনি। সব সময়েই তরতাজা চনমনে থাকেন নীতু কপূর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, তাঁর ত্বকে বলিরেখাই পড়েনি। রোদে বেরোলে সানস্ক্রিনও মাখেন না তিনি। এর পরেও দাগছোপহীন মসৃণ ত্বক তাঁর। শরীরের কোথাও মেদের চিহ্নমাত্র নেই। কী ভাবে এই যৌবন ধরে রেখেছেন, তার গোপন রহস্য ফাঁস করলেন নীতু।

Advertisement

শাহিদ-ঘরণি মীরা রাজপুত কপূরের সঙ্গে একটি চ্যাট শো-য়ে নীতুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাঁর এমন সৌন্দর্যের রহস্য কী। তাতে নীতু জবাব দিয়েছেন, পেট ভাল রাখলেই তার ছাপ পড়বে ত্বকে। পেটের সমস্যা যদি থাকে তা হলে ত্বকে দাগছোপ পড়তে বাধ্য। হজম প্রক্রিয়া সঠিক হলে এবং শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলেই শরীর সুস্থ ও তরতাজা থাকবে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গেই সব কিছু জড়িত বলেই মনে করেন নীতু। সে জন্য পেট ভাল রাখতে তিনি এমন একটি খাবার খান যা শুধু তাঁর সুস্বাস্থ্য নয়, ত্বকেরও যত্ন নেয়।

শরীর সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিকের উপরেই ভরসা রাখেন নীতু। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণের বিভিন্ন ছবির শুটিংয়ের সময়ে তিনি দেখেছেন কী ভাবে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে তরতাজা থাকতেন দক্ষিণের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সেখান থেকে শিখেই তিনি তা খাওয়া শুরু করেন। নীতু বলছেন, বাড়িতে যখন ভাত হয় তার কিছুটা তুলে সরিয়ে রাখেন। তার পর সেই ভাত একটা মাটির পাত্রে রেখে তাতে জল দিয়ে ঢেকে রাখেন সারা রাত। সকালে সেই জল ঢালা পান্তাভাত নুন, লঙ্কা দিয়ে মেখে খেয়ে নেন। পান্তার জলই হল সেই প্রোবায়োটিক যা পেট ঠান্ডা তো রাখেই, ত্বকও ভাল রাখে।

Advertisement

প্রোবায়োটিক হল এমন কিছু জৈব পদার্থ, যা শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন আমরা যে সব ফল বা শাকসব্জি খাই, তার মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে আমাদের অন্ত্রে খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। এই খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি নষ্ট করার জন্যই প্রয়োজন প্রোবায়োটিক।

টক দই প্রোবায়োটিকের সব চেয়ে ভাল উৎস। রোজ টক দই খেলে উপকার হবে। টক দই দিয়ে লস্যি বা ঘোল বানিয়েও খাওয়া যায়। ইডলি, দোসা, দই, আচার, ঘোলের মতো খাবারে প্রোবায়োটিক পাওয়া যাবে। বাটার মিল্কেও থাকে প্রোবায়োটিক। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এটি। প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্টও পাওয়া যায় বাজারে। তবে নীতু পরামর্শ দিচ্ছেন, রোজের খাবার থেকেই প্রোবায়োটিক শরীরে ঢুকলে ভাল হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement