কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। —ফাইল চিত্র।
বৈঠকের জন্য তারা যে অপেক্ষা করছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে লিখিত ভাবে তা জানাল রাজ্য সরকার। সূত্রের দাবি, শিবরাজের সময় পেতে অনেক দিন আগে থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। সাম্প্রতিক চিঠি সেই সূত্রেই। শিবরাজের সঙ্গে বৈঠকের সময় পেলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলিতে রাজ্যের এত দিনের পদক্ষেপ তথ্য-সহ তুলে ধরা হবে। সূত্রের দাবি, ওই চিঠি পাওয়ার পরে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তাঁর দফতরকে এ রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সূচি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। লিখিত ভাবে রাজ্যকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাবে তাঁর মন্ত্রক।
আধিকারিকদের একাংশ জানান, ২০২২ সালের নভেম্বরে আবাস প্রকল্পে রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার উপভোক্তাকে কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়ার সময়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকই জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব ক’টি পদক্ষেপ ইতিবাচক, তাই অনুমোদন দেওয়া হল। শুধু শর্ত ছিল, পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই কাজও সময়ের মধ্যে সারে রাজ্য। তবু বরাদ্দ আসেনি। এক কর্তার কথায়, “কেন্দ্র যখন রাজ্যের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলিকে মান্যতা দিয়েছিল, তার পরে বরাদ্দ আটকে অতগুলি কেন্দ্রীয় দল এবং পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর মানে হয় না। এমনকি, কেন্দ্রীয় দলগুলির যা সুপারিশ, তার সবই কার্যকর করেছিল রাজ্য। তাও এখনও বরাদ্দ অধরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকের সময় পাওয়া গেলে তথ্য-সহ সেই বিষয়গুলির সবিস্তার ব্যাখ্যা করা হবে।” তবে রাজ্য এখনও কেন্দ্রের বার্তা পায়নি। দফতরের এক কর্তার দাবি, “নথি নিয়ে আমরা প্রস্তুত।”
শুধু আবাসই নয়। একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতেও বরাদ্দ বন্ধের কারণ জানতে চাইতে পারে রাজ্য। কারণ, সেই প্রকল্পগুলিতেও কেন্দ্রীয় সব সুপারিশ কার্যকর করার দাবি করছে রাজ্য। সরকারি সূত্রের দাবি, আবাস, একশো দিনের কাজ, সড়ক যোজনা মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। অতীতে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকও হয় উভয়ের মধ্যে। তবু বরাদ্দ চালু হয়নি।