ছোট থেকেই ঋতুস্রাব নিয়ে মেয়েদের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৮ মে পালিত হয় ‘বিশ্ব ঋতুস্রাব পরিচ্ছন্নতা দিবস’। ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে আলোচনা খানিক আড়ালেই থাকে। ফলে ঋতুস্রাবকালীন সুরক্ষাবিধি নিয়েও অনেকের মধ্যেই এখনও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। ছোট থেকেই ঋতুস্রাব নিয়ে মেয়েদের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন। তাতে ঋতুস্রাবকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।
ঋতুস্রাবচলাকালীন সংক্রমণ এড়াতে কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন?
১) প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। ঋতুস্রাবচলাকালীন একই স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেক ক্ষণ ধরে ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর থেকে মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌনাঙ্গের চারপাশে ফুসকুড়ি, র্যাশও দেখা দিতে পারে।
২) প্রতি বার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর সময় যৌনাঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করুন। স্যানিটারি ন্যাপকিনের তুলো, ঋতুস্রাবের রক্ত যেন জমে না থাকে। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
৩) ঋতুস্রাব চলাকালীন যৌনাঙ্গের সুরক্ষা বজায় রাখতে সাবান, বডি ওয়াশ বা অন্য কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। কৃত্রিম কোনও প্রসাধনী যৌনাঙ্গের মতো স্পর্শকাতর অংশে ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এই ধরনের তরল সাবান বা ক্রিমে থাকা রাসায়নিক উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৪) ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যত্রতত্র না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। কারণ যেখান সেখানে ছড়িয়ে থাকা ব্যবহৃত ন্যাপকিন থেকে ব্যাক্টেরিয়া ছড়াতে পারে। স্যানিটারি ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার পর হাত ধুয়ে নেওয়াটাও কিন্তু একান্তই জরুরি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।