হৃদ্রোগ থাকলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ-সচল থাকতে পুষ্টিবিদরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। রোগা হওয়া ছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সুফল অনেক। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো অসুখ থেকে সুরক্ষিত থাকতেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। স্থূলতা এই ধরনের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও ওজন কমানো জরুরি। তবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি খানিক বদলে যায়। বাকিদের রোগা হওয়া আর হৃদ্রোগীদের রোগা হওয়ার পদ্ধতির মধ্যে তফাত আছে। তবে হৃদ্রোগ থাকলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। নয়তো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।
'ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি'-র মুখপত্রে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হৃদ্রোগে ভোগা মানুষদের মধ্যে ওজন কমাতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ। এবং সকলেরই বয়স গড়ে ৫০ থেকে ৫৫-এর মধ্যে।
তাই হৃদ্রোগ থাকলে রোগা হওয়ার ডায়েটও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করা উচিত। কার্বোহাইড্রেট, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি আছে, এমন খাবার হৃদ্রোগীদের পক্ষে এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।
কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, কম জিআই যুক্ত খাবার প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। যেগুলি শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি একই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে।
আপেল, কমলালেবু, মুসুর ডাল, ব্রকোলি, শাকসব্জি, ব্রাউন রাইস, ওটসের মতো কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় খাবার বেশি করে খান। যেসব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ বেশি, সেগুলি হৃদ্রোগের পাশাপাশি ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।