Natural Ways to Boost Fertility

বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? কোন কোন অভ্যাস বদলালে সম্ভাবনা বাড়বে

পরিবার পরিকল্পনা করার আগে চিকিৎসকেরা কিছু অভ্যাসে বদল আনার কথা বলেন। জেনে নিন বাবা হওয়ার আগে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ১৫:২৮
Share:

পরিবার পরিকল্পনা করার আগে চিকিৎসকেরা কিছু অভ্যাসে বদল আনার কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত।

বছর চারেক হয়েছে বিতান ও ঐশীর বিয়ে হয়েছে। দু’জনে এখন স্বামী-স্ত্রী হলেও একে অপরের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বিতান একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সিতে কর্মরত, ঐশী এক জন পোশাকশিল্পী। ছ’মাস ধরে দু’জনেই চাইছেন বাবা-মা হতে, তবে কিছুতেই সফল হচ্ছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর জানা গেল, বিতানের শরীরে শুক্রাণুর উৎপাদনের হার কম, সে কারণেই সমস্যা হচ্ছে সন্তানধারণে।

Advertisement

এই সমস্যা বিতানের একার নয়। রোজের জীবনে নানা অনিয়মের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। পরিবার পরিকল্পনা করার আগে চিকিৎসকেরা কিছু অভ্যাসে বদল আনার কথা বলেন। জেনে নিন বাবা হওয়ার আগে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিন ডি-এর অভাবেও শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

১) ওজন বাগে আনা: ওজন বাড়লে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শরীরে মেদ জমলে পুরুষের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বিপুল ভাবে কমে যায়। ফলে যৌবন ধরে রাখতে চাইলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ওজন বাগে আনলেই শরীরে শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়বে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করুন। নেট দেখে ডায়েট করতে যাবেন না ভুলেও। কেবল ডায়েট করলে হবে না, শরীরচর্চাও করতে হবে।

Advertisement

২) রোদে থাকুন: ভিটামিন ডি-এর অভাবেও শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। যে সব মাছে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে আছে, যেমন স্যামন, টুনা, সেগুলি রোজের ডায়েটে বেশি করে রাখুন। পাশাপাশি, রোদে সময় কাটালে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট নিন।

৩) ধূমপান এবং মদ্যপানে লাগাম: অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান করলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়, শুক্রাণুর সংখ্যাতেও প্রভাব পড়ে। ধূমপানের ফলে ক্ষতি হয় আরও বেশি। তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে এই দুই অভ্যাস ছাড়তে হবে।

৪) মানসিক চাপ কমান: কখনও অফিসের চাপ, কখনও আবার সাংসারিক টানাপড়েনের কারণে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। মনের উপর চাপ বাড়লে বা শান্তি কমে গেলে শুক্রাণুর সংখ্যা অনেক কমে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হতে পারে। একটানা একই কাজ করতে করতেও ক্লান্তি আসে, তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন। জীবনে একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরতে যাওয়ারও প্রয়োজন আছে। মনোবিদের সাহায্যও নিতে পারেন।

৫) পর্যাপ্ত ঘুম: শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলেও এই শুক্রাণু উৎপাদনের হার কমে যায়। তাই রোজ টানা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement