যৌবন ধরে রাখতে ৫ অভ্যাসে রাশ টানুন সবার আগে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজকর্মের উপর মূলত নির্ভর করে, বার্ধক্য ঠিক কত তাড়াতাড়ি হানা দেবে শরীরে। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক অস্থিরতা— সবই অকালবার্ধক্য ডেকে আনে। অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেওয়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, পেশির ক্ষয়, নিস্তেজ ত্বক এবং ক্লান্তি বার্ধক্যের পূর্বলক্ষণ। সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে, তবে অকালবার্ধক্য কারও কাছেই কাঙ্ক্ষিত নয়। দৈনন্দিন জীবনে অজান্তেই এমন কয়কটি ভুল অনেকে করে ফেলেন, যার ফলস্বরূপ সময়ের আগেই বয়সের ছাপ পড়ে যায় শরীরে।
অকালবার্ধক্য ঠেকাতে কোন পাঁচটি কাজ এড়িয়ে চলবেন?
সারা দিন বসে থাকা
বাড়ি থেকে কাজ হোক বা অফিসে গিয়ে, এখন বসে কাজ করতেই অভ্যস্ত অধিকাংশ মানুষ। সারা দিন এক ভাবে বসে থাকার ফলে শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে ঘাটতি হয়। ফলে অকালেই শরীরে বয়সের ছাপ দেখা দেয়। শুধু তা-ই নয়, ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের মতো সমস্যার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে সারা ক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস। তাই কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই উঠে একটু হাঁটাচলা করতে হবে। এ ছাড়া রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। জিমে যেতে ইচ্ছে না করলে বাড়িতেই যোগাসন করুন। তা-ও সম্ভব না হলে দিনে আধ ঘণ্টা সময় বার করে হাঁটাহাঁটি কিংবা সাঁতার কিংবা সাইক্লিং করতে পারেন।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
অসময়ে খিদে পেলেই পেট ভর্তি করছেন পিৎজ়া, বার্গার, চিপসের মতো ভরপুর ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে। তা হলে কিন্তু চরম ভুল করছেন। এই খাবারগুলিতে ক্যালোরির পাশাপাশি রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা, নুন, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো ক্ষতিকর উপাদান। দীর্ঘ দিন তারুণ্য ধরে রাখতে লাগাম টানুন এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে। অফিসে কাজের ফাঁকে খিদে ফেলে স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন মুড়ি, মাখানা, ছোলা মাখার মতো খাবার খান।
সারা ক্ষণ মানসিক চাপের মধ্যে থাকা
কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা, চারপাশের অসহিষ্ণু পরিস্থিতি, সব মিলিয়ে হাসতেই যেন ভুলে গিয়েছে মানুষ। সুস্থ ও সুন্দর থাকতে হাসি কিন্তু খুবই জরুরি। হাসার সময়ে এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরিত হয়। যা মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। বার্ধক্য এড়াতে হাসিমুখ বজায় রাখাটা জরুরি। এর জন্য কিন্তু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। কাজের পর মন চাঙ্গা করতে পরিবারকে সময় দিন। সময় নিয়ে রোজ একটু ধ্যান করুন। মন শান্ত থাকবে।
ধূমপান ও মদ্যপান
অকালবার্ধক্যের অন্যতম কারণ হল ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস। অত্যধিক ধূমপান করলে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায়, জেল্লা হারিয়ে যায়। এ ছাড়া ধূমপান হার্টের অসুখ, ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। তাই সাবধান! মদ্যপানও ত্বকের পক্ষে ভাল নয়। ক্রনিক অসুখ শরীরে বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ হল মদ্যপান। তাই বয়সের আঁচ ঠেকিয়ে রাখতে এই অভ্যাসে রাশ টানা জরুরি।
ঘুম কম হওয়া
অপর্যাপ্ত ঘুম একাই সময়ের আগে বার্ধক্য ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুমোলে অল্প বয়সে শরীরে পড়তেই পারে বয়সের ছাপ।