ক্লান্ত চোখকে আরাম দিতে পারে ৫ সহজ ব্যায়াম। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর অংশ চোখ। আর চোখের উপরেই পড়ে যাবতীয় চাপ। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘন ঘন জ়ুম মিটিং, সারা ক্ষণ মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি, বাড়ি ফিরেও টিভি খুলে ওয়েব সিরিজ় দেখা— যত অত্যাচার সবই হয় চোখের উপর।
শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকেরা যেমন শরীরচর্চা করতে বলেন, তেমন চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তা-ও বলেন। চোখ ভাল রাখতে কাজের ফাঁকেই চোখেরও চাই বিশ্রাম। মাঝেমাঝেই চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া জরুরি। তবে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে, চোখ ব্যথা, অনবরত জল পড়ার মতো কিছু সমস্যা মেটাতে ভরসা রাখতে পারেন সহজ কয়েকটি শরীরচর্চা ও যোগাসনের উপর।
১. হাতের তালুর ব্যবহার: দু’হাতের তালু খানিক ক্ষণ ঘষে গরম করে নিন। ঘর্ষণের ফলে হাতের তালুতে তাপ উৎপন্ন হয়। এ বার হাত দু’টি চোখ বন্ধ করে চোখের উপরে রাখুন। চাপ দেবেন না। হালকা হাতে তাপ দিন চোখে। ১০ থেকে ১৫ বার একটানা এটি করুন। কাজের ফাঁকেও করে ফেলতে পারেন এই সহজ ব্যায়াম, চোখের আরাম হবে।
২. চোখ ঘোরানো: গোল করে মণি ঘোরানোও চোখ ভাল রাখার জন্য বেশ কার্যকর একটি ব্যায়াম। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ১০ বার করে মণি ঘোরান। তার পর চোখ বন্ধ রাখুন মিনিট খানেক। দিনে দু’বার করে এই ব্যায়ামটি করার চেষ্টা করুন। চোখের পেশির শক্তি বাড়াতে এই অভ্যাস ভীষণ উপযোগী।
৩. ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা: প্রতি ৩-৪ সেকেন্ডের মধ্যে ১০ বার চোখের পাতা ফেলার অভ্যাস, চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে এক ভাবে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমাঝে চোখের জন্য এই চর্চাটি করে নেওয়া ভাল। টানা এক মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলে দেখুন, চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
চোখ ভাল রাখতে কাজের ফাঁকেই চোখেরও চাই বিশ্রাম। ছবি: শাটারস্টক।
৪. এ দিক-ও দিক তাকানো: এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে প্রথমে সোজাসুজি তাকান। এ বার বাঁ পাশে ও ডান পাশে সমান দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে বারে বারে তাকান। মিনিট খানেক করুন। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন। চোখের পেশি সঞ্চালন ভাল রাখতে এই চর্চা ভীষণ উপকারী।
৫. বালাসন: হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা সামনের দিকে বেঁকান। এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক গিয়ে ঊরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন। এই আসন চোখের জন্য উপকারী তো বটেই, তার সঙ্গে মানসিক অবসাদ ও হজমের গোলমালও দূর করতে সহায়ক হয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও খুব উপকারী। আসনটি করার সময়ে চোখ বন্ধ রাখুন। চোখের তো বিশ্রামেরও প্রয়োজন হয়।