বিটনুন কি শরীরের পক্ষে আদৌ ভাল? ছবি: সংগৃহীত
খাবারে নুন বেশি হলে যেমন খাওয়া যায় না, তেমনই আবার নুন কম হলেও মুশকিল। তরকারিতে নুন কম মনে হলেই কাঁচা নুন মিশিয়ে খেয়ে নেন অনেকেই। বেশি নুন খাওয়া, বিশেষ করে কাঁচা নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটই ভল নয়। এই অভ্যাসে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। সাধারণ নুনের তুলনায় বি়ট নুন ঢের ভাল। সাধারণত সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে ফেললে শরীরে জলের মাত্রা বেড়ে যায়। বিটনুনে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকায় শরীরে জল জমতে দেয় না।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
হজমশক্তি বাড়ায়
বিটনুন পিত্ত উত্পাদনকে উদ্দীপিত করে। শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। বদহজমের সমস্যা দূর করতেও এই নুন বেশ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে বিটনুন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিটনুন। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়েটে এই নুন রাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
পেশির টান দূর করতে
বিটনুনে উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম থাকে, যা শরীরের পেশিগুলির কর্মদক্ষতা বাড়ায়। হাঁটাচলা কিংবা শরীরচর্চার সময় পেশিতে টান পড়ে অনেকের। এই ক্ষেত্রে নিয়মিত বিটনুন খেলে উপকার পেতে পারেন। বিটনুন শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
প্রচুর মাত্রায় খনিজে ভরপুর বিটনুন চুলের দৈর্ঘ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল পড়া আটকায়। প্রতিদিনের ডায়েটে বিটনুন থাকলে খুসকির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শরীরের টক্সিন দূর করতে
এক চা চামচ বিটনুন গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দেবে।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সাধারণ নুনের পরিবর্তে বিটনুন রাখতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে এই নুনেও স্বাস্থ্যহানি হতে পারে।