পরিমিত পরিমাণ ভাতের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন এবং সব্জি খেতে হবে। —ফাইল চিত্র।
রেস্তরাঁয় গিয়ে যত ধরনের খাবার চেখে দেখুন না কেন, দিনের শেষে বাঙালির ‘কমফর্ট ফুড’ কিন্তু ভাত। তবে ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতন, শরীরচর্চা করা মানুষজন ভাত খাওয়া বন্ধ করে রুটির দিকে বেশি ঝুঁকছেন। কারণ সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলেরই মত, সুস্থ থাকতে গেলে ‘সাদা খাবার’ বাদ দিতে হবে। ঢেঁকিছাঁটা চাল ছাড়া, যে সমস্ত চাল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলি নিঃসন্দেহে প্রক্রিয়াজাত। যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। প্রক্রিয়াকরণের সময়েই চাল থেকে যাবতীয় ফাইবার বা অন্যান্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। স্টার্চ এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকায় মেদ ঝরানোর পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় ভাত। তাই বলে ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়া কি ভাল?
পুষ্টিবিদ এবং প্রভাবী রাশি চৌধরি বলছেন, “বিশেষ বিশেষ শারীরিক পরিস্থিতি ছাড়া পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়া যেতেই পারে। তবে কারও যদি রক্তে শর্করা বেশি থাকে, আইবিএস-এর সমস্যা থাকে তখন ভাত খেতে বারণ করা হয়। আবার যাঁরা এন্ডোমেট্রিয়োসিস, পিসিওএস-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ভাত না খাওয়াই ভাল।”
ভাত খাবেন কেন?
১) শক্তির প্রধান উৎস ভাত। কার্বোহাইড্রেটের প্রাকৃতিক উৎস। রুটির চেয়ে ভাত অনেক বেশি সহজপাচ্য।
২) ভাত একেবারে গ্লুটেনমুক্ত। যাঁদের গ্লুটেনজাতীয় খাবার খেলে সমস্যা হয়, তাঁরা নিশ্চিন্তে ভাত খেতে পারেন।
৩) পেট খারাপ বা হজমের গোলমাল— যে কোনও সমস্যায় ভাত অনেক বেশি নিরাপদ।
ভাতের সঙ্গে কী কী খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত?
১) পরিমিত পরিমাণ ভাতের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন এবং সব্জি খেতে হবে।
২) ভাতই খান বা রুটি, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হবে।
৩) প্রতি দিন পরিমিত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাটেরও জোগান দিতে হবে।