বিকেলের টিফিন হোক কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে টুকটাকি স্ন্যাক্সের খোঁজ, মোমো পেলেই মুখে একগাল হাসি। ছবি: শাটারস্টক
বাঙালি এখন মোমোর প্রেমে মুগ্ধ। রাস্তার ধারে ছোট ঠেলায় হোক কিংবা বড় রেস্তরাঁয়, মেমো যেন না খেলেই নয়! বছর দশেক আগেও কলকাতায় মোমোর এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। দার্জিলিং গিয়ে রেস্তঁরায় বসে মোমো খেয়ে মুগ্ধ হত বাঙালি। ইদানীং মোমো-জ্বরে ভুগছে শহরবাসী। বিকেলের টিফিন হোক কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে টুকটাকি স্ন্যাক্সের খোঁজ, মোমো পেলেই মুখে একগাল হাসি।
এখন অনেকে বিভিন্ন রেসিপি দেখে বাড়িতে মোমো তৈরি করেন। তবে শত চেষ্টা করেও দোকানের মতো নরম আর রসালো মোমো বাড়িতে তৈরি করা যায় না। শক্ত হয়ে গেলে সেই মোমোর ঠিক স্বাদ আসে না। জেনে নিন বাড়িতেই দোকানের মতো মোমো তৈরি হবে কী করে? বানানোর সময়ে কোন পাঁচ টোটকা মাথায় রাখবেন?
১) মোমো তৈরির ক্ষেত্রে ময়দার মণ্ডটি বানানোর সময় অনেকে ভুল করে বসেন। ঠান্ডা জল নয়, ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ময়দা মাখতে হবে। ময়দা মাখার সময় স্বাদ মতো নুন আর বেকিং পাউডার দিতে ভুলবেন না যেন।
২) মণ্ডটি খুব বেশি শক্ত হলে মোমো ভাল হবে না। রুটি ও লুচির তুলনায় নরম করে ময়দা মাখতে হবে এ ক্ষেত্রে। মোমো তৈরির ঘণ্টা খানেক আগে মণ্ড বানিয়ে সুতির ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৩) লেচিগুলি বেলার সময় সেগুলি যেন খুব পাতলা হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। মোমোর বাইরের স্তর যত পাতলা হবে, ততই স্বাদ বাড়বে।
৪) তোলার সময় মোমোগুলি স্টিমারের তলায় লেগে ছিঁড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে মেমো স্ট্যান্ডে সামান্য মাখন কিংবা তেল দিয়ে দিতে পারেন।
৫) মোমোর পুর তৈরি করার সময়ে তাতেও তেল কিংবা মাখন দিতে পারেন। দোকানের মোমোতে কামড় বসালেই রসালো তরল বেরিয়ে আসে। পুরে মাখন কিংবা তেল দিলে বাড়ির মোমোও দোকানের মতো রসালো হবে।
মোমোর স্বাদ বাড়াতে অনেকেই আবার বেশি পুর দিয়ে ফেলেন। এর ফলে স্টিম হওয়ার পর মোমোগুলি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। উপরের পাঁচ টোটকা যেমন মনে রাখতে হবে, তেমন পুর দেওয়ার সময়েও যত্ন নিতে হবে।