ছবি: সংগৃহীত।
‘একটু জল পাই কোথায় বলুন তো?’
পিপাসায় গলা শুকিয়ে গেলে জল ছাড়া অন্য কিছুতেই মন ভরে না। তবে শুধু গলা ভেজানোর জন্য নয়, শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজকর্মই ‘জলে চলে’। তাই শরীরে জলের জোগান দিয়ে যেতে হয়। ‘বডি ফ্লুইড’-এর সমতা বজায় রাখতেও পরিমাণ মতো জল খাওয়া জরুরি।
কিন্তু শরীরে যে জলের অভাব হচ্ছে, তা বুঝবেন কী করে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা বা কাজকর্ম সঠিক ভাবে চালনা করার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি রয়েছে। গোটা দেহে কোথায় কখন কোন পদ্ধতি প্রয়োজন, তা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় মস্তিষ্কের ওই অংশটিকে ‘হাইপোথ্যালামাস’ বলা হয়। দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে সঙ্কেত গ্রহণ করে এই ‘হাইপোথ্যালামাস’। এ ক্ষেত্রে যেমন জলের ঘাটতি হচ্ছে সেই সঙ্কেত প্রথমে ‘হাইপোথ্যালামাস’-এ পৌঁছয়। তার পর প্রয়োজনীয় হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। ফের জলের ঘাটতি পূরণের সঙ্কেত হিসাবে পিপাসা বা জল তেষ্টার অনুভূতি প্রেরণ করে।
শরীরে জলের জোগান থাকা জরুরি কেন?
১) শরীরে ফ্লুইডের মাত্রা সঠিক হলে তা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
২) দেহের অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় থাকে। চোখের লুব্রিকেশন ভাল হয়।
৩) পরিমাণ মতো জল খেলে সংক্রমণজনিত সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা যায়।
৪) শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে জল।
৫) বিপাকহার ভাল হয় জল খেলে। পেট, ত্বক, চুল— সবই ভাল থাকে।