শীতের রোদে পিঠ দিয়ে বসে কমলালেবু খাওয়ার মজাই আলাদা। প্রতীকী ছবি।
শীত পড়তে শুরু করেছে। বাতাসে শীতের আমেজ। এই সময়ে টাটকা সতেজ শাকসব্জি ছাড়াও বাজারে মেলে নানা মরসুমি ফলমূল। শীতকালের বাজার জুড়ে থাকে কমলালেবু। শীতের রোদে পিঠ দিয়ে বসে কমলালেবু খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে স্বাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ কমলালেবু শরীরের জন্যও উপকারী। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, শরীরের অন্দরে আরও অনেক রোগের সঙ্গে লড়তে এই ফলের জু়ড়ি মেলা ভার। কিন্তু কমলালেবুর স্বাদ মিষ্টি। সেই কারণে ডায়াবিটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা অনেকেই কমলালেবু এড়িয়ে চলেন। কমলালেবু খেলে কি সত্যিই ডায়াবিটিস বাড়তে পারে?
রক্তে শর্করারা মাত্রাও সকলের এক থাকে না। প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু হল সাইট্রাস জাতীয় ফল। স্বাদে মিষ্টি হলেও চিনির পরিমাণ এতে বেশি থাকে না। মুসাম্বি বা কমলালেবুর মতো ফল ডায়াবেটিক রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। কমলালেবুতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া, কমলালেবুর গ্লাইসেমিক সূচক ৪০-এর একটু বেশি। চিকিৎসকদের মত অনুসারে, গ্লাইসেমিক সূচক ৫৫-এর কম হলে সব খাবারই মোটামুটি খেতে পারেন ডায়াবিটিস রোগীরা। ডায়াবেটিকদের কমলালেবু খাওয়ার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হল, কোনও রকম বাড়তি চিনি যোগ না করে খাওয়া। কমলালেবু এমনিতে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে কোনও রকম ঝুঁকি না নিতে কমলালেবুর রসে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চামচ চিয়া বীজ। এই বীজ আপনার শরীরের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পর্যাপ্ত জোগান দেবে। তবে সকলের শারীরিক পরিস্থিতি এক রকম হয় না। রক্তে শর্করারা মাত্রাও সকলের এক থাকে না। তাই ডায়াবিটিসের রোগী হলে কমলালেবু খাওয়ার আগে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।