প্রতীকী ছবি।
শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা যে খাবারগুলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তার মধ্যে দুধ একেবারে উপরের দিকে। হাড় মজবুত রাখা থেকে শুরু করে দাঁতের যত্ন— সবেতেই সমান ভূমিকা পালন করে ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ দুধ। দুধ শুধু শরীরের যত্ন নেয় না। পাশাপাশি সুস্থ রাখে ত্বকও। সত্যিই কি তাই? নিয়মিত দুধ খেলে ত্বকে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। সরাসরি না পড়লেও ত্বকে সমস্যা সৃষ্টিকারী নানা উৎসেচকের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। হরমোনে প্রভাব ফেলে। ফলে ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। এ ছাড়া ব্রণ, এগজিমার মতো সমস্যাও দেখা দেয় ত্বকে। দুধ খেলে না হয় সমস্যা হতে পারে। তাই বলে দুধ মাখতে তো দোষ নেই। বরং ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে দুধের সরেই ভরসা রাখেন অনেকে। তবে শুধু দুধের সর মাখলে লাভ হবে না। ত্বকের যত্নে দুধের ব্যবহার জানতে হবে।
প্রতি দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে ত্বকের যত্নে সে ভাবে সময় পান না অনেকেই। রোজের ব্যবহার্য উপাদান দিয়েই যদি ত্বকের পরিচর্যা করা যায়, তা হলে তো অনেকটা সময় বাঁচে। এ ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে ভরসা রাখতে পারেন দুধের উপর। ত্বকের লালিত্য ফিরিয়ে আনতে পারে দুধ।
কেমন করে দুধ ব্যবহার করলে ত্বকের নানা সমস্যা দূরে থাকবে?
১) বাড়িতে ক্লিনজার ফুরিয়ে গিয়েছে? চিন্তা নেই। ঘরে কাঁচা দুধ থাকলেই হল। একটি তুলো দুধে ভিজিয়ে সারা মুখে মেখে নিন। দুধ ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে ত্বককে। সেই সঙ্গে ত্বকের কোমলতা ও মসৃণতা বজায় রাখতেও দুধের ব্যবহার জরুরি।
২) দুধের সর প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে ওট্স এবং দুধের সর মিশিয়ে মিনিট দশের স্ক্রাব করুন। কিছু ক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে।
৩) শীতকাল আসছে। ত্বকে এখন থেকে টান ধরতে শুরু করেছে। শীতকালীন রূপচর্চায় দুধ একটা গুরুত্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক কাপ দুধে আধ খান পাকা কলা চটকে তাতে একটু মধু মিশিয়ে নিন। এ বার এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন দিন মুখে মেখে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। শীতকালেও ত্বকে আসবে লাবণ্য।