ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। প্রতীকী ছবি।
রাস্তাঘাটে অনেকেই ‘লিভার টনিক’ বলে দোকানদারের হাঁক শুনে থাকবেন। শুধু লিভার কেন? শরীরের অন্দরে আরও অনেক সমস্যার দ্রুত সমাধান মেলে ডাবের জলে। কিডনি ভাল রাখা থেকে শুরু করে পেটের যত্ন— ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। ডাবের জল যে শুধু শরীর সুস্থ রাখে তা-ই নয়, সেই সঙ্গে চুল এবং ত্বকের যত্নেও সমান উপকারী এই জল। বিশেষ করে শীতকালে ত্বক যত্নে রাখতে অতি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন এই পানীয়। নিয়ম করে ডাবের জল খাওয়ার স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে বহু। শুধু খেলে হবে না, বাড়তি সুবিধা পেতে ত্বকে মাখতেও হবে ডাবের জল। কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করবেন তা জানা জরুরি।
সারা দিনে এক বার ডাবের জলে তুলো ভিজিয়ে সারা মুখে ঘষে নিন। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্ন নিতে কতটা পারদর্শী ডাবের জল?
১) শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। রুক্ষ ত্বকের যত্নে ডাবের জলের ভূমিকা অনবদ্য। শুষ্ক ত্বকে ব্রণর পরিমাণও বেশি হয়। শীতের আবহাওয়ায় ব্রণর সমস্যা রুখতে ব্যবহার করতে পারেন ডাবের জল। সারা দিনে এক বার ডাবের জলে তুলো ভিজিয়ে সারা মুখে ঘষে নিন। রোজ না করলেও অন্তত এক দিন অন্তর এক দিন করতে পারেন। উপকার পাবেন।
২) নাকের ব্ল্যাকহেডস্ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন? ডাবের জলেই লুকিয়ে রয়েছে তার সমাধান। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত এই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা তাঁদের বেশি করে দেখা দেয়। এই সমস্যার চটজলদি সমাধান করতেও কিন্তু ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন।
৩) শীতকালে এমনিতেই ত্বকের জৌলুস হারিয়ে যায়। তবে শীতেও ত্বকের বসন্তের ছোঁয়া পেতে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন ডাবের জল।
৪) শীতেও কিন্তু ট্যান পড়ে ত্বকে। এমন পরিস্থিতিতে রোদে পোড়া ত্বকের উন্নতিতে ডাবের জল দিয়ে মুখ ধুলে ভাল ফল পাবেন।
৫) ডাবের জলের মধ্যে ভিটামিন সি, বি, কে, জিঙ্ক, আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের অকালবার্ধক্যে রোধ করে। রোজের রূপরুটিনে ডাবের জল ব্যবহার করলে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে থাকে।