ছবি : সংগৃহীত।
জিরে, দারচিনি, লেবুর রস বা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে তৈরি এক বিশেষ পানীয়! রেসিপি দেখে উদ্ভট মনে হতে পারে। কিন্তু কোনও ফিটনেস প্রশিক্ষক যদি বলেন, ওই পানীয় সকালে নিয়মিত খেলে ১৫ দিনে ৫ কেজি কমবে, তবে বিশ্বাস হবে না। সমাজ মাধ্যমে এক ফিটনেস প্রশিক্ষকের দেওয়া মেদ ঝরানোর ওই দাওয়াই তাই ইতিমধ্যেই ভাইরাল। কিন্তু তা সত্যিই কার্যকরী কি?
সমাজমাধ্যম প্রভাবী ওই ফিটনেস প্রশিক্ষকের নাম সুনীল শেট্টি। তাঁর দাবি, কড়া ডায়েট না মেনে শুধু মাত্র ওই পানীয় নিয়মিত খেয়ে ১৫ দিনে ৫ কেজি ওজন কমানো যাবে। শুধু তা-ই নয়, কী ভাবে ওই পানীয় খেতে হবে তা-ও বলে দিয়েছেন সুনীল। তিনি বলছেন, প্রথমত, ঘুম থেকে উঠেই ওই পানীয় খেতে হবে। দ্বিতীয়ত, দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় দুধ-চা বা দুধ দিতে তৈরি কফি রাখা যাবে না। বদলে চা বা কফি খেতে হবে সামান্য দারচিনি দিয়ে। এছাড়াও কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে। সুনীল বলেছেন, প্রতিদিন দুপুর এবং রাতের খাবারের আগে ফল এবং সবজি দিয়ে তৈরি স্যালাড খেতে হবে। প্রতি বার খাবার পরে আপেল, বীট এবং গাজরের রস খেতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার জল খেতে হবে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার পা হাঁটতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিতে হবে।
সুনীলের ওই প্রেসক্রিপশন প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ পায়েল কোঠারি বলছেন, ‘‘ফিটনেস প্রশিক্ষক যা যা করতে বলেছেন, তার সব ক’টিই আমাদের ওজন ঝরানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। যেমন জিরের জল যেকোনও খাবার থেকে পুষ্টি নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও দূরে রাখে। হজমে সাহায্য করে। বিপাক ক্রিয়া ভাল রাখে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।’’
পায়েল জানাচ্ছেন স্যালাড এবং ফলে রয়েছে ফাইবার। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সব সময়েই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফাইবারও হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে আপেল, বীট এবং গাজরের রস খেতে বারণ করছেন পায়েল। তাঁর বক্তব্য, আপেল, বীট এবং গাজর গোটা ফল খান। যেকোনও ফলের রস রক্তে শর্করা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়া দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেট অনেক ক্ষণ ভরে রাখে। কফিও মেদ ঝরাতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন পায়েল।