প্রতীকী ছবি।
অনেকেরই ধারণা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। আদপে সত্যিটা উল্টো। বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অভ্যাস যদি করতে পারেন, ভবিষ্যতে বেশি সাশ্রয় করতে পারবেন। তবে প্রয়োজন একটু পরিকল্পনা এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা।
মরসুমি ফল-সব্জি
শীতকালে আম-জামের খোঁজ না করে কমলালেবু-আপেল খান। তাতে অনেক কম খরচ হবে এবং স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। তেমন ব্রকোলি শীতকালে কিনলে একটু সস্তায় পেতে পারেন। গরমকালে স্বাদও ভাল হবে না, আবার বেশি টাকাও লাগবে। আপনার অঞ্চলে যে ফল-সব্জি পাওয়া সহজ সেগুলি কিনলে কম খরচ হবে। বিদেশি ডায়েট দেখে সেই অনুযায়ী অ্যাভোক্যাডো বা জুকিনির খোঁজ না করাই ভাল। স্থানীয় ফল-সব্জিতেও একই গুণ পেয়ে যাবেন। ইন্টারনেটে এই নিয়ে একটু গবেষণা করলেই এমন বিকল্প পেয়ে যাবেন যেগুলি আপনার অঞ্চলে পাওয়া যাবে।
নামে ভুলবেন না
ধরুন বাজারে কোনও একটা সংস্থার তৈরি জলখাবারের সিরিয়াল খুব চলছে। আপনি তার বদলে একটা বিদেশি ব্র্যান্ডের সিরিয়াল বেছে নিলেন। দাম বেশি পড়বেই। যে কোনও জিনিস বাছার সময় প্যাকেটের গায়ে লেখা উপকরণগুলি মন দিয়ে পড়ুন। সেগুলিই আসল। বিদেশি বা কম অজানা ব্র্যান্ড মানেই সেই খাবার বেশি স্বাস্থ্যকর, তার কোনও মানে নেই।
বাড়িতে রান্না করুন
প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে নিজে রান্না করার চেয়ে কম খরচে খাওয়াদাওয়া করা অসম্ভব। নিজে রান্না করলে তেল-মশলা-নুন সব মেপে দিতে পারবেন। ফলে খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। যে কোনও অ্যাপে আপনি মাছের ঝোল অর্ডার করুন কোনও রেস্তরাঁ থেকে। যে মূল্য আপনাকে দিতে হচ্ছে, বাজার থেকে মাছ কিনে নিজে রান্না করলে, গ্যাসের খরচ ধরেও সেই তুলনায় আপনার কম টাকা খরচ হবে।
বেশি করে কিনুন
যে সময়ে কোনও দোকানে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ছাড় চলবে, সেই সময়ে বেশি করে মুদিখানার জিনিস কিনে রাখুন। তবে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, শাক-সব্জি, মাছ-মাংস বা ডিম একসঙ্গে খুব বেশি কিনবেন না। খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু চাল, ডাল, তেল, ড্রাই ফ্রুট, মুরি, মশলা, চিনি, নুনের মতো জিনিস কিনে রাখতেই পারেন।
কোনও খাবারই ফেলে দেবেন না
সব্জির সব অংশ জমিয়ে রাখুন। ভাল করে ধুয়ে স্টক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারবেন। পাউরুটি বাসি হয়ে গেলে ধারগুলি কেটে ছোট ছোট টুকরো করে বেক করে নিন। বাড়িতে বানানো ক্রুটন তৈরি। ধনেপাতা, কারিপাতা শুকিয়ে যাচ্ছে? ব্লেন্ডারে চাটনি বানিয়ে ফেলুন কিংবা ফ্রিজারে জমিয়ে রূপচর্চার কাজে লাগান। ফল বেশি দিন চালাতে কেটে জমিয়ে রাখুন। পরে স্মুদি বানিয়ে নিন। নেট-দুনিয়া ঘাঁটলেই এমন হাজারটা উপায় পেয়ে যাবেন যাতে কোনও খাবার নষ্ট না হয়। ঠিক করে শাক-সব্জি ফ্রিজে রাখতে পারলে অনেক দিন টাটকা থাকে। এই ফিকিরগুলি জানা থাকলে বাজারের খরচ অনেকটাই কমে যায়।