ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছরে অনেকেরই লক্ষ্য থাকে পুরনো বছরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ঝরঝরে এবং তরতাজা হয়ে ওঠার। সেই মতো পরিকল্পনাও করেন। কেউ ভরসা রাখেন শরীরচর্চায়, কেউ বা রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন অধিকাংশ খাবার। অনেকেই আছেন যাঁরা এই গোটা প্রক্রিয়াটি নিজের মত করে পরিচালনা করেন। ফল হিসাবে হিতে বিপরীত হয়। বিশেষকরে এই করোনা পরিস্থিতিতে শরীর সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়াটা জরুরি। তাই নতুন বছরে সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ধরনের খাদ্যভ্যাস।
অ্যাসিড আছে এমন খাবার বর্জন করুন
অ্যাসিডের উপস্থিতি আছে এমন খাবার না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ এই ধরনের খাবার শরীরে অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি করে শরীরের কর্মক্ষমতা ও প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল করে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে রোজের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের শস্য জাতীয় খাবার, মাছ, মুরগির মাংস, ফল, শাকসব্জি রাখুন।
ছবি: সংগৃহীত
কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাবার বর্জন করুন
ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা। তাই ওজন কমাতে গিয়ে অজান্তেই শরীরের বড় কোনও বিপদ ডেকে আনবেন না।
শর্করা জাতীয় খাবার একেবারে বাদ না দেওয়াই ভাল
চিনি ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকেও নানা প্রভাব ফেলে ঠিক, তবে সুস্থ থাকতে শরীরে শর্করারও প্রয়োজন আছে। তাই পরিমাণে অল্প হলেও শর্করা জাতীয় খাবার একেবারে বর্জন না করাই ভাল।
ফল, মাছ, শাকসব্জি বেশি খান
ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ওটস, ডালিয়া ইত্যাদির উপর। ফলে শাকসব্জি, ফল, মাছ নিয়মিত খান না। তবে শুধু তো ওজন কমানো নয়, শরীরও সুস্থ রাখা জরুরি। শরীরের প্রদাহ কমাতে তাই রোজকার তালিকায় রাখুন মাছ, মাংস, সবুজ শাকসব্জি।
দুগ্ধজাতীয় খাবার একেবারে বাদ দেবেন না
আজকাল শুধু মাছ, মাংস, ফল, শাক সব্জি সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাসকে ইংরেজিতে বলা হয় প্যালিও ডায়েট। মাছ, মাংস, ফল শুধু নয় রোজকার খাবারের তালিকায় থাকুক দুগ্ধজাতীয় খাবারও।