গোড়ালি ফাটার সমস্যা কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে মোজার দৈর্ঘ্য। হিমেল হাওয়া রুখতে মোজা পায়ে গুটিসুটি মেরে বসে থাকলেই বেশ গরম হয়ে ওঠে চারপাশ। দিন দিন বাজারে মোজার রকমফের বাড়ছে। একে তো পা ঢেকে রাখায় ঠান্ডা কম লাগে। পা পরিষ্কারও থাকে। পা ফাটা, কর্নের সমস্যা থাকলে মোজা পরুন বারো মাস। মোজা পরলে অনেক ক্ষণ পা আর্দ্র থাকে। ফলে পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না। শীতে মোজা ব্যবহারের অনেক সুবিধা!
অনেকের আবার অভ্যাস শীতের রাতে মোজা পরে ঘুমোনোর। তবে এই অভ্যাস ঘিরে বিতর্ক অনেক। কেউ বলেন মোজা পরে ঘুমোনো একেবারেই উচিত নয়, কেউ কেউ আবার বলেন মোজা পরে শোয়ার অনেক উপকার রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, শীতের রাতে পা গরম রাখতে এবং সুরক্ষিত রাখতে মোজা পরা ভাল। শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার এই পদ্ধতি বেশ উপকারী। গোড়ালি ফাটার সমস্যা কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী। এ ছাড়াও রাতে মোজা পরে ঘুমোনোর আরও কিছু সুবিধা রয়েছে। রইল তার হদিস।
১) শীতকালে শরীরের বাকি অংশগুলির তুলনায় পা অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। মোজা পরে ঘুমোলে এই সমস্যা কমে।
২) রাতে মোজা পরে ঘুমোলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে, অনিদ্রার সমস্যা কমে। ঘুমও ভাল হয়।
৩) মোজা পরা থাকলে পায়ের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
৪) গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোজা পরে ঘুমোলে চরমসুখ পাওয়া ক্ষমতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
৫) অনেক সময় পায়ের পাতায় ও আঙুলগুলিতে রক্ত সঞ্চালন কমে গিয়ে ফুলতে শুরু করে। একে চিকিৎসার ভাষায় রেডনস অ্যাটাক বলে। মোজা পরলে সেই সমস্যা হয় না।
মোজার অনেক ধরন হয়। চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডায় উলের বা কাশ্মীরি মোজা পরে ঘুমোতে পারলে সবচেয়ে ভাল। তবে সুতির মোজার চেয়ে এগুলির দাম অনেকটা বেশি। সিন্থেটিক মোজা একেবারে না পরাই ভাল। খুব বেশি চাপা মোজা পরলে দেহে রক্ত সঞ্চালন কিন্তু ব্যাহত হয়। বেড়ে যেতে পারে হার্টরেট। ঘুমের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, রক্ত সঞ্চালন সঠিক না হলে মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে।